আজ মঙ্গলবার ║ ২৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সর্বশেষ:

    জুলাই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা বিএনপির: আমীর খসরু

    Share on facebook
    Share on whatsapp
    Share on twitter

    জুলাই আগস্ট আন্দোলনের মূল নায়ক তারেক রহমান এবং সবচেয়ে বেশি ভূমিকা বিএনপির বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    তিনি বলেন, জুলাই আগষ্টের আন্দোলনের মূল নায়ক ছিলেন তো তারেক রহমান এবং যার সবচেয়ে বেশি দিন আত্মত্যাগ, সেটা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বক্তৃতা এটা দিয়ে শুরু করতে হবে। যাদের কারণে আজ শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। জুলাই আগস্টের আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই, কিন্তু সে আন্দোলনেও সবচেয়ে বেশি ভূমিকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের।

    তিনি শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে নগরীর জিইসি মোড়স্থ জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে জুলাই আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পেশাজীবী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব এড. হাসান আলী চৌধুরী এবং মহানগর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ইফতেখার ইসলাম লিটনের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    আলোচনা সভা শুরুর আগে আওয়ামী দুঃশাসন ও জুলাই আগষ্টের গনঅভ্যুত্থানের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

    আমীর খসরু বলেন, ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে, আমাদের (বিএনপি) এত মানুষের যে আত্মত্যাগ, সেটা এখন আবার অনেকে ভুলে যেতে বসেছে। এখন জুলাই-আগস্ট নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, তাতে ১৬ বছর ধরে যে মানুষগুলো একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেটা কিন্তু আলোচনায় আসছে না। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে, পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে, চাকরিচ্যুত হয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে পারেনি, বেশিরভাগ সময় কোর্ট-কাচারিতে কাটিয়েছে। বলতে কষ্ট হচ্ছে- এমন অনেকে আছে, স্ত্রী স্বামীকে ত্যাগ করে চলে গেছে, বছরের পর বছর স্বামী ঘরে না থাকার কারণে, এরকম ঘটনা আছে। সেগুলো কিন্তু আলোচনায় আসছে না।

    আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করার কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশের তরুণদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই চিন্তা আমরা করে রেখেছি। আমরা এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থানের কথা বলছি প্রথম ১৮ মাসে। আমরা কিন্তু এই কথাটা পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট হিসেবে বলছি না, অঙ্কের হিসাব-কিতাব করে, কোন সেক্টরে কত চাকরি হবে, দেশে কত হবে, বিদেশে কত হবে, আর্ত্মকমসংস্থান কত হবে, আমরা হিসাব-কিতাব করে বের করেছি। এগুলোর জন্য রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় পরিবর্তন আনবো, সেটাও আমরা রেডি করেছি।

    তিনি বলেন, সুতরাং আমরা যা বলছি সেগুলো পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট না, এগুলো তারেক রহমান সাহেব নীতিনির্ধারকদের নিয়ে এ কাজগুলো প্রায় সমাপ্ত করে ফেলেছেন। স্বাস্থ্যখাতে কী হবে, শিক্ষাখাতে কী হবে, আইটি সেক্টর, ইন্ডাস্ট্রিতে, কৃষিখাতে কী হবে- সব আমরা হোমওয়ার্ক করে রেখেছি। আমরা এক কোটি চাকরির কথাও আমরা হোমওয়ার্ক করেই বলেছি। এজন্য যেসব এক্সপার্টিজ আছেন, তারাও আমাদের সাথে কাজ করছেন। আমাদের তো দেশ গড়তে হবে। পলিটিক্যাল স্লোগান দিয়ে তো দেশ গড়া যাবে না। এখন আমাদের মানুষের কাছে পরিস্কার করতে হবে যে আমরা কীভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বো।

    এখন দেশ গড়ার সময় মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে বিএনপির ৩১ দফার ভিত্তিতে এখন আমাদের দেশ গড়ার সময়, জাতি গঠনের সময়। এতদিন শেখ হাসিনার পতন ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। এখন তারেক রহমান বলছেন, রাজনীতিতে সহনশীলতার কথা। ভিন্নমত পোষণ করেও অপরের মতকে সম্মান জানানোর কথা বলছেন। কারণ রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে একশ সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না।

    তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের বলবো- অপরের সাথে দ্বিমত করেও তার মতের প্রতি সম্মান জানাবেন, অসুবিধা নেই। আমরাতো যুদ্ধক্ষেত্রে নেই, আমাদের দেশ গড়তে হবে। নির্বাচনের পর তো আমাদের দেশটাকে গড়তে হবে। জিয়াউর রহমান সাহেব যেভাব দেশ গড়েছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে দেশ গড়েছেন, তারেক রহমান সাহেব দেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাতির সামনে তুলে ধরছেন, সেই গল্প জনগণকে বলতে হবে, দেশবাসীর সামনে ৩১ দফার গল্প তুলে ধরতে হবে।

    তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের কথা বলতে গেলে ১৬ বছরের আন্দোলনে যাদের অবদান আছে, তাদের সবার কথা বলতে হবে এবং এটা শুরু করতে হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দিয়ে। এই আন্দোলনের এক নম্বর অবদান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার, এটাও কিন্তু অনেকে বলতে ভুলে গেছে। দেশনায়ক তারেক রহমান বছরের পর বছর এ আন্দোলনের জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছেন, সেই কথাটাও কিন্তু জুলাইয়ের আলোচনায় খুব কম করে আসছে। আসলে এই আন্দোলনের মূল নায়ক তো ছিলেন তারেক রহমান আর সবচেয়ে বেশি আত্মত্যাগ যেটা, সেটা করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বক্তব্য এটা দিয়েই শুরু করতে হবে, যাদের কারণে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

    তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের, যুবদলের, শ্রমিক দলের, ছাত্রদলের, স্বেচ্ছাসেবক দলের, সমস্ত অঙ্গসংগঠনের। সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, বিএনপির সাথে সম্পর্কিত যারা রাজনীতি করেছেন তারা। যারা জেলে গেছে, তাদের নব্বই শতাংশ ছিল বিএনপির। আমার সঙ্গে জেলে বন্দি ছিল কমপক্ষে ১০ হাজারের মতো, সেখানে ৯ হাজার হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মী। আর বাকি এক হাজারের মতো ছিল রিকশাওয়ালা ভাই, ঠেলাওয়ালা ভাই, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মানুষ আছে।

    আমীর খসরু বলেন, এই যে চরম কঠিন একটা সময়, আমরা সবাই অতিক্রম করেছি, বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা, এই কথাগুলো জুলাই-আগস্টের আলোচনায় কোথাও আসছে না। শহিদ ওয়াসিমের নামটা পর্যন্ত আমি ঢাকায় কোথাও দেখি না। যে জুলাই আন্দোলনে প্রথম শহিদ ওয়াসিম, তার নামটা কোথাও আলোচনায় নেই।

    আন্দোলনের কৃতিত্ব বিএনপি কখনো এককভাবে দাবি করে না জানিয়ে তিনি বলেন, এই যে বিএনপির কথা আলোচনায় আসছে না, এটা নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি করিনি। কারণ এই বিপ্লব, এই আন্দোলনকে আমরা বিএনপির কৃতিত্ব হিসেবে দেখাতে চাই না। সমস্ত জাতি, সবাই একসাথে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটিয়েছে, আমরা সেটাকে সেভাবে দেখাতে চেয়েছি। কৃতিত্বের দাবিদার যে সবচেয়ে বেশি বিএনপি, এটা আজ পর্যন্ত তারেক রহমান সাহেবও বলেননি, আমরাও বলিনি। একটাই কারণ- আন্দোলনকে দ্বিধাবিভক্ত আমরা করতে চাই না। আন্দোলনে বিভাজন আমরা করতে চাই না। আমরা এ আন্দোলনকে দেশের সকল মানুষের আন্দোলন হিসেবে দেখাতে চেয়েছি, যে কারণে বিএনপি কখনো কৃতিত্ব দাবি করে না এবং করবেও না। এটা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আন্দোলন হিসেবে আমরা আখ্যা দিয়েছি।

    আমীর খসরু বলেন, আমার সবসময় শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব দাবির কথা মনে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধ করলো কারা আর সারাজীবন সেটার কৃতিত্ব দাবি করলো শেখ হাসিনা। ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, মহিলারা রেপের শিকার হয়েছে, অথচ শেখ হাসিনা কৃতিত্ব দাবি করেছে শুধু তার নিজের এবং পরিবারের। এখনও সেই অবস্থা যাতে না হয়, সেজন্য বিএনপি কখনও একক কৃতিত্ব দাবি করছে না। তবে রেকর্ডের জন্য আমাদের নেতাকর্মীদের সবাইকে জানতে হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছি। দেশের ইতিহাসে প্রত্যেকটি আন্দোলনের পেছনে নানা ইতিহাস ছিল। এখন কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে, জুলাই আগষ্টের গনঅভ্যুত্থান একমাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে, ৪৭ না হলে ৫২ হতো না, ৭১ না হলে ৭৫ এর সিপাহী জনতার বিপ্লব হতো না। এগুলো অস্বীকার করা যাবে না। এখন সকলেই কৃতিত্ব দাবী করে। ৭১ এ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল। কিন্তু তিনি কৃতত্ব চাননি। অর্থাৎ আন্দোলন সংগ্রাম ও দেশ পরিচালনা একদিনে হয় না। এগুলো ধীরে ধীরে ডেবলেফ করে। একইভাবে ওয়াসিম আকরাম ও আবু সাইদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের ক্ষোভ ফুটে উঠেছে।

    জাহিদ হোসেন বলেন, ভুয়া মামলার আমদানিকারক আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার আগে ‘কম্বলচোর’ শব্দ সম্পর্কে আমরা জানতাম না। সেগুলো এনে দিয়েছে তারাই। আজকে যারা মাসে মাসে টাকা নেয় সেটা হয় সহযোগিতা। আর কেউ যদি অনুষ্ঠানের জন্য টাকা নেয় সেটা আরেকটা নাম হয়ে যায়। আমাদেরও জানার আগ্রহ হয়, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য বদলানোর নামে বিদেশসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু মানুষের কোন ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। পাল্টেছে সেই দল ও তাদের ভাগ্য। ফলে ৭১ পরবর্তী স্বৈরাচারের দোসর কারা ছিল, সেগুলো কি ভুলে গেছেন? মানুষ ভুলেনি। ওনারাই ৯৬ সালে আমাদের বিরুদ্ধে হরতাল করেছিল। স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করার জন্য পূর্বের ইতিহাসে যাদের ভূমিকা ছিল তারাই ওরা। তারাই এখন বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলেন। কাজেই বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নিজেদের চেহারা আগে একবার আয়নায় দেখবেন। প্রতিযোগিতা থাকা ভালো, প্রতিহিংসা ভালো না। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা দিয়েছি। আপনারাও দেন। কিন্তু গায়ের জোরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা যারা করছে তাদের কথা আমরা বলতে পারি না, সেই সিদ্ধান্ত জনগণ নিবে। ঐক্যের ডাক বিএনপিই দিয়েছে। ফলে অনৈক্য করলে জনগণই আপনাদের পেছনে ফেলে দিবেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই ৩৬ দিনের আন্দোলন কোনো বিচ্ছিন্ন অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি গত ১৬ বছরের লাগাতার আন্দোলনের ফল। এ আন্দোলনে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা, পেশাজীবীরা, যুবক নারী ছাত্র শ্রমিক সকলেই অংশগ্রহণ করেছে।

    ফ্যাসিস্ট অপশক্তির বিচার দাবি করে তিনি বলেন, আমার নিজের বাসায় এবং ভাইয়ের বাসায় ৩ আগস্ট আগুন লাগানো হয়, গাড়ি ভাঙচুর হয়। আমার মা সেই আগুনে অবরুদ্ধ ছিলেন। অথচ এসব হামলার বিচার হয় না। অন্য কারো বাসায় তো আগুন লাগানো হয়নি। এভাবে যারা জনগণের উপর হামলে পড়েছিল তাদের বিচার চাই।

    জুলাই আন্দোলনের কৃতিত্ব কোন একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নয় বিধায় আন্দোলনের কৃতিত্ব হাইজ্যাকের অপচেষ্টাকারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ৩৬ দিনের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করার কোনো সুযোগ নেই। এটি বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ত্যাগ ও সংগ্রামের দীর্ঘ পথচলারই ফসল। সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরাই। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা, কারাবরণ, সবখানেই আমরা এগিয়ে।

    শেষে মেয়র বলেন, ওয়াসিম আকরামের নামে আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি পার্ক করেছি। বিমানবন্দরের কাছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশও তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। ওয়াসিম আকরাম ইতিহাসে ও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

    সভাপতির বক্তব্যে জাহিদুল করিম কচি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে মহাবিল্পবের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ফ্যাসিবাদি সাংবাদিকরা এখন নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে। সকল পেশাজীবিদের আহ্বান জানাবো, তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে যোক্তিকভাবে প্রতিহত করার জন্য।

    এতে বক্তব্য রাখেন সন্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, সিএমইউজে’র সাবেক সভাপতি শামসুল হক হায়দরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহকারী মহাসচিব মুস্তাফা নঈম, বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, সিএমইউজে’র সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, জেলা ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. আশরাফুল কবির ভূইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবদুল সাত্তার, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এড. তারিক আহমেদ, মহানগর পিপি এড. মুফিজুল হক ভূইয়া, ড্যাব নেতা ডা. ঈসা চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাউল আলম, সিটি করপোরেশন কলেজ শিক্ষক সমিতির আহবায়ক আবদুল হক, ব্যাংকার মেহরাব হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার মো. ওসমান, সিদ্দিক আল মামুন প্রমূখ।

    Share on facebook
    Share on twitter
    Share on whatsapp
    Share on linkedin
    Share on telegram
    Share on skype
    Share on pinterest
    Share on email
    Share on print