
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বলেছেন, মামলার তদন্তে শুধুমাত্র আসামীর দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির উপর নির্ভর না করে তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
গত বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের উদ্যোগে আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
স্বাগত বক্তব্যে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বলেন, মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট এর জন্য ৯৬৫টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আটকে আছে। তিনি ৯৬৫টি মামলার তালিকা উপস্থাপন করে দ্রুততম সময়ে মেডিকেল সনদ, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, তিনি চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরকেও পরিবেশ আইন প্রয়োগে তৎপর হওয়ার আহবান জানান।
কনফারেন্সে সকল অংশীজন আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, সাক্ষীদের নিরাপত্তা, তদন্ত ও বিচারকাজে বিদ্যমান নানান প্রতিবন্ধকতা এবং এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ।
এছাড়া অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, জেলা প্রশাসন, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিটিসিএল, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।