
সন্দ্বীপ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সনাতন সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্যামা পূজা উদযাপন হয়েছে ব্যাপক ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। তার মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডের শ্রীশ্রী রক্ষাকালী মন্দির,সন্দ্বীপ টাউন জগন্নাথ দেবালয়, ২ নং ওয়ার্ডের
নিত্য মহাজনের বাড়ি,রুহিনী গ্রাম হরিশপুর শ্রী শ্রী কালি মন্দির,৯নং ওয়ার্ডের আনন্দময়ী কালি বাড়ি ও শ্যামা মায়ের মন্দির।
পূজাকে সাত্বিক ভাবে উদযাপন ও উৎসব মুখর করতে শ্রীশ্রী রক্ষাকালী মন্দিরে মোমবাতি প্রজ্বলন,ভক্তিগীতি গীতাপাঠ ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।এছাড়াও প্রতিটি পূজা মন্ডপে সন্ধ্যা থেকে সারারাত অবধী চলতে থাকে ধুনছি নাচ, আলোচনা সভা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে প্রতিবছর অমাবস্যা তিথিতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হয় শ্রীশ্রী শ্যামা কালী পূজা ও দীপাবলী উৎসব। দুর্গাপূজার বিজয়ার পরবর্তী এবং কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে এ দীপাবলির আয়োজন করা হয়। পৃথিবীর সকল অন্ধকারের অমানিশা দূর করতেই এই আয়োজন।
অশুভ শক্তির হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতেই এই আলোকায়ন। দীপাবলি সনাতনধর্মীদের উৎসব বিশেষ। এটি দেওয়ালি, দীপান্বিতা, দীপালিকা, সুখরাত্রি, সুখসপ্তিকা এবং যরাত্রি নামে অভিহিত।
বাংলায় ‘দীপাবলি’ শব্দটি হিন্দি দিওয়ালি শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ প্রদীপের সারি। হিন্দু ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করে দীপাবলির আলোয় সকল অশুভ শক্তি দূর হয়ে ঘটবে শুভ শক্তির আবির্ভাব।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’, ‘আদ্য মা’, ‘তারা মা’, ‘চামুন্ডি’, ‘ভদ্রকালী’, ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালীপূজার দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। তাই একে বলা হয় দীপাবলি।