
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, অতীতে যেভাবে বিএনপি রাজপথে থেকে আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছে। গত জুলাই-আগস্টে সরকার পতনের আন্দোলনের পরও সেভাবেই রাজপথ কাঁপিয়েছে বিএনপি। আগামীতে দেশবিরোধী যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিএনপি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি দেশের পক্ষের সকল শক্তিকে সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করুন, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। মাফিয়া সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সময় বিশ্বে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিচিত করবার অপকৌশলে লিপ্ত ছিলো। ক্ষমতা হারিয়ে ৫ আগস্টের অপশক্তি এখন কিন্তু আবার বিশ্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পরিচিত করানোর অপচেষ্টার লিপ্ত হয়েছে। দেশকে আমদানি নির্ভর, পর নির্ভর এবং ঋণ নির্ভর একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করে মাফিয়া সরকারের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
তিনি ১০ জুন (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই-বিপ্লব স্মৃতি হলে বেলা সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চট্টগ্রাম মহাগর বিএনপির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশ ক্ষমতায় থাকতে নানা অজুহাতে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা সফল হলে দীর্ঘমেয়াদে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান ও বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যুরোচীফ গোলাম মওলা মুরাদের যৌথ সঞ্চালয়নায় নিউজগার্ডেন সম্পাদক কামরুল হুদার কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের ১৫ বছরের দুঃশাসনের কুফল এখনো জনগণকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পলাতক স্বৈরাচারের পরাজয়েরর মধ্যে দিয়ে আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের আবহমান কালের ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ এম এ আজিজ, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু। সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওসমান গণি মনসুর, মুস্তফা নাঈম, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, এনাম হায়দার, এমরান এমি, ইভান মির। আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, মোহাম্মদ জাফর, নূর উদ্দিন নুরু, এম এ সবুর, আবু মুসা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।