চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি দখল ও নির্যাতন আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বেশি হয়েছে। আওয়ামীলীগ হিন্দুদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক মনে করে। আবার দূর্গাপূজার সময় তারাই হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুর করে। অথচ বিএনপি সবসময় সকল সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছে বিএনপি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ নেই যে তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জায়গা জমি দখল করেছে। বিএনপি সংখ্যালঘু তত্বে বিশ্বাস করেনা। কিন্তু আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় নেতা আছে যারা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করেছে। এই সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থেকেও শত্রু সম্পত্তি আইন নিষ্পত্তি করতে পারে নাই। এই সরকারের অধীনে কেউ নিরাপদ নয়। কেউ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারে না। একদলীয়ভাবে দেশ শাসন করছে। তাই দেবি দূর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির সুচনা করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে বস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব ধর তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাবেক সদস্য সচিব আর কে দাস রুপু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি।
শুরুতে ইসকনের প্রবর্তক মন্দিরের প্রধান পূজারী শ্রীনিবাস দাস ব্রহ্মচারী গীতা পাঠের মাধ্যমে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশে বেঁচে থাকবার অধিকারগুলো মানুষ সত্যিকার অর্থে ভোগ করতে পারছে না। তাই মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলের প্রার্থনা হোক, বাংলাদেশ থেকে অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন চলে যাক। আমরা অন্ধকার থেকে আলোয় যেতে চাই। আমরা মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। অসুর যতই শক্তিশালী হোক তাকে পরাজিত করতে হবে। তিনি সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানান এবং সবার কল্যাণ কামনা করেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয় শক্তির জন্য। অসুরের যে শক্তি তাকে বদ করবার জন্যে। অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই উপাসনা। সব রকমের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দেবী দূর্গার আরাধনা। এটা বাংলাদেশের সার্বজনীন পূজা। ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক সীমানা অতিক্রম করে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক বৃহত্তর শুভেচ্ছার প্রাঙ্গনে মিলিত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ।
মিথুন দাসের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, দীপক চৌধুরী কালু, এড. শিপন কুমার দে, উজ্জ্বল বিশ্বাস, কোতোয়ালি থানা বিএনপির আহবায়ক মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, সদস্য সচিব আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, মহানগর যুবদলের সহ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, মো. আলাউদ্দীন, মো. সালাউদ্দীন, কল্যাণ ফ্রন্টের নেতা বাবলা দেবনাথ, রুপক মল্লিক রাতুল, রুপন কর্মকার, রিগান নন্দী,অসিম বনিক, সঞ্জয় ধর সঞ্জু, বাবলা ধর, উত্রাসিং মারমা, সাজু দেব, কাজল সেন, সাজু দাস, প্রান্ত বসাক, সুকান্ত মজুমদার, রিপন দেব, সজীব দত্ত, সীমান্ত ধর, দীপা দাস, অপু সিংহ রায় প্রমুখ।