দেশব্যাপী বিএনপি জামাতের হরতাল অবরোধের নামে পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের উপর হামলা, বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি পোড়ানো, লুটপাট, অগ্নিসন্ত্রাস সহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষে তারেক জিয়ার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লায়ন মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
৫ নভেম্বর রবিবার সকাল এগারোটায় মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন হাট বাজার প্রদক্ষিণ করে এনাম নাহার মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে এসে জড়ো হয়।সমাবেশে উত্তর জেলা কৃষক লীগের সদস্য শামসুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান মিজান। বক্তব্যে তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সারা দেশের সাথে সাথে সন্দ্বীপের ব্যপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি ২০১২ সালে সন্দ্বীপের জনসভায় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার চেয়েও বেশি বাস্তবায়ন করেছেন। সরকারের এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি জামাত জোট হরতাল অবরোধের নামে পুলিশ হত্যা করেছে, সাংবাদিকদের উপর হামলা করছে, সাধারণ মানুষের জানমালের উপর অগ্নি সন্ত্রাস করেছে। সন্দ্বীপের মাটিতে যদি এমন কোন ধ্বংসাত্মক কাজের চিন্তা করা হয় তবে তার দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে সারিকাইত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ-দৌলা, জোট সরকারের নির্যাতিত নেতা আশ্রফ উল্ল্যা শ্রাবণ, মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, ইয়াহিয়া মিলন মেম্বার, দিদারুল আলম মেম্বার, উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য মো.বাবলু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকছুদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আনোয়ারুল কবির, আবদুর রহিম শিবলী মেম্বার, আইনুল কবির মুন্না, শামীম, আজম, তাইজুল ইসলাম আরমান মেম্বার, বেলাল হোসেন, শামসুল আলম, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হীরা কায়সার, সালাউদ্দিন আরমান সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।