মানবতার সেবায় একটি বিশুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন লায়ন্স ক্লাব। মানুষের সেবা করাকে প্রধান দায়িত্ব মনে করে এ সংগঠনের সদস্যরা আত্মনিয়োগ করেন। এ সংগঠনের সদস্যরা নিজে পরিশ্রম করে যে অর্থ উপার্জন করেন, সে অর্থ খরচ করেন মানবতার সেবায়।
এসব সেবামূলক কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য এবং সেবামূলক কাজকে আরও গতিশীল করার জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নেতা নির্বাচিত হয় সংগঠনের সদস্যদের ভোটে। সংগঠনের সদস্যরা মনে করেন- এ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগঠনের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা বাড়ে। সেবামূলক কাজে বাড়ে উৎসাহ। সম্প্রতি সংগঠনের সদস্যদের ভোটে লায়ন্স জেলা গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন প্রকৌশলী মো: সেলিম মিয়া। গত ৩০ মে সন্ধ্যায় গুলশানের সেলিব্রিটি কনভেনশন হলে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল এর ২৯তম বার্ষিক জেলা সম্মেলন ও ফেলোশিপ নাইটে প্রদত্ত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- লায়ন্স ক্লাবের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও গুড উইল এম্বাসেডর কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, পিএমজেএফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ক্লাবের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও গুড উইল এম্বাসেডর শেখ কবির হোসাইন এমজেএফ ও লায়ন্স ক্লাবের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও গুড উইল এম্বাসেডর মোসলেম আলি খান এমজেএফ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নাজমুল হক পিএমজেএফ, পিডিজি, আব্দুল ওয়াহাব, পিএমজেএফ, এ কে এম রেজাউল হক, এমজেএফ, পিডিজি, পিসিসি, এমএ হাসান, পিএমজেএফ।
অনুষ্ঠানে সারা দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক লায়ন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন- ‘ফ্রেন্ডশিপ এন্ড ফেলোশিপ’ লায়নের অন্যতম আদর্শ। লায়নে আমরা আসি সেবার মাধ্যমে সম্মান অর্জনের জন্য। আমরা অন্যের সেবা করব, অন্যকে সম্মান করব, তাহলে আমরা নিজেরাও সন্মানিত হব।
লায়ন্স ক্লাবের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক ও গুড উইল এম্বাসেডর শেখ কবির হোসাইন, পিএমজেএফ বলেন- সংগঠনে নির্বাচন যদি ভালো হয়, গণতন্ত্র সমৃদ্ধ হয়। এবারের নির্বাচিত জেলা গভর্নর প্রকৌশলী মো: সেলিম মিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সকল সদস্যদের নিয়ে কাজ করবেন। আমি মনে করি তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে সংগঠনের গণতন্ত্র সুরক্ষা পাবে এবং সেবার কাজ আরও গতিশীল হবে। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিক্রিয়ায় প্রকৌশলী মো: সেলিম মিয়া বলেন- আমরা লায়ন্স ক্লাবে এসেছি সেবা করার জন্য। মানুষের উপকার করার জন্য। আমরা নিজেরা কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা করি না। সেবার মান আরও বাড়ানোর জন্য সংবিধান অনুযায়ী আগামী দিনের কার্যক্রম পরিচালনা করব। তিনি বলেন- সংগঠনে গণতন্ত্র সুরক্ষার জন্য আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছি। নির্বাচন যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক একটি বিষয়, সেখানে কিছু বিষয়ে মতৈক্য না থাকতে পারে। আমি চেষ্টা করব- সেবার মানসিকতায় সকল সমস্যা নিরসন করে সদস্যদের ঐক্য আরও মজবুত করার জন্য। তিনি বলেন- লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক সংবিধানের আলোকে কাজ করার চেষ্টা করব। পূর্বের ঐক্য আরও মজবুত করার চেষ্টা করব। লায়নিজমের বাইরে কোন পদক্ষেপ নিব না। আমরা সেবার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। এরপর তাঁকে সেবার কাজে উদ্বুদ্ধ করে লায়ন্স ক্লাবে সংযুক্ত করার জন্য কল্পনা রাজিউদ্দিন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ সংবর্ধনা পেয়েছেন ঢাকা আলোকিত নারী লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি সারমিন সেলিম তুলি।