কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলছেন, বিপদে-আপদে আমাদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এটাই বিএনপি-যুবদলের রাজনীতি। দলে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না, কোনো অনুপ্রবেশকারীকে স্থান দেওয়া যাবে না- এটা সকল নেতাকর্মীকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সাধারণ মানুষের মন জয় করতে হবে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোনো অন্যায় করা যাবে না। আওয়ামী লীগের সাথে কোনো আপস করা যাবে না। আমরা মানুষের জন্য কাজ করছি। সুতরাং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কারো সাথে জোর-জবরদস্তি করে রাজনীতি করা যাবে না।
স্বাধীনতার মূল চেতনা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন পথযাত্রায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সারাদেশে জেলাভিত্তিক দিকনির্দেশনামূলক কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিনে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর), দুপুরে মহানগরীর অলংকার – একে খান মোড় ও বায়েজিদ থানার শেরশাহ এলাকায় পৃথক পৃথক ভাবে দলের নির্বাচনী প্রতিক “ধানের শীষ’ সম্বলিত লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রথম সূচনা করেছি। সেটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। তাই আগামী নির্বাচন হবে একটি কঠিন পরীক্ষার নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফলের জন্য বিএনপি সব সময়ই জনসমর্থনের ওপর নির্ভরশীল। বিএনপি ১৭ বছর ধরে শত জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করে যেভাবে জনগণের আস্থা ধরে রেখেছে, তার ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। এ জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যতই ষড়যন্ত্র হক জিয়া পরিবারের শীর্ষ কর্ণধার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননন্দিত জননেতা, আগামীর বাংলাদেশ দেশনায়ক তারেক রহমানকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় দল বিএনপি আজ স্মরণকালের সর্ববৃহত্তম ঐক্যে প্রতিমুহূর্তেই শক্তিশালী হচ্ছে। ১/১১’র দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গর্বের ধন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙ্গালী জাতির নয়নের মণি জননেতা তারেক রহমান সাময়িক নির্বাসিত জীবনে থাকলেও তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিদেশের মাটিতে অনেক কষ্ট করছেন। তবু আওয়ামী লীগের সাথে কোনো আপস করেননি। তিনি অন্তর্র্বতী সরকারকে সহযোগিতা করার বার্তা দিয়েছেন। আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করবো, এটা আমাদের দায়িত্ব।
এসময় কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এস কে ফয়সাল, সাইফুর রহমান শপথ, নগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি শাহেদ আকবর, ফজলুল হক সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, অরূপ বড়ুয়া, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, সেলিম উদ্দীন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, হেলাল হোসেন হেলাল, শাহজালাল পলাশ, জাফর আহমেদ খোকন, তানভীর মল্লিক, সাবেক সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, নুর হোসেন উজ্জ্বল, মুহাম্মাদ সাগির, গাজী ফারুক, মহিউদ্দিন মুকুল, সাবেক সহ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবুল, জহিরুল ইসলাম জহির, গুলজার হোসেন মিন্টু, থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, বজল আহমেদ, মোশাররফ আমিন সোহেল, সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, হাবিব উল্লাহ খান রাজু, সাইফুল আলম রুবেল, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দামসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।