
ধর্মীয় সংঘাতের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করছেন সূফিবাদী ঐক্য ফোরাম নেতৃবৃন্দ। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানা, মহাসচিব মাস্টার মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, মেট্রোপার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন, সাংবাদিক আবু হেনা খোকন, মাওলানা দিদারুল আলম, সাংবাদিক মো. নাজিম উদ্দিন মিয়াজী, শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ ইলিয়াছ সোহেল, মাওলানা জহিরুল ইসলাম চাটগামী, মো. আবু হানিফ মাসুম প্রমূখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে জুলুম ও দূঃশাসনের অবসান হলেও এখন একটি উগ্রগোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মীয় উপাসনালয়, মাজার, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ চট্টগ্রামে আইনজীবিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হামলা ভাংচুর, শেরপুরে মুরশিদপুর দরবারে হামলা নিরহ মানুষ হত্যা, ঘরবাড়ি লুটপাট, গরু, ছাগল, মহিষ চুরি এমনকি পরিবেশ বান্ধব গাছপালা কেটে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্মানিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের লাঞ্চনাসহ ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাজধানীর ফার্মগেইট রাজা বাজারের বাসায় ঢুকে জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে জবাই করে। চিহ্নিত খুনিদের আসামী করে মামলা হলেও অধ্যাবদি আসামীদের গ্রেফতারে কোন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। খুনি-সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় এই জঙ্গীগোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বর্তমান সময়ে নানা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। অন্যথায় দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি যে কোন সময় ভিন্নরূপ ধারণ করতে পারে। ধর্মীয় সংঘাতের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।