চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানা শাখার অধীনস্থ ৮টি ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারিনী হাসিনার প্রেতাত্মা কর্তৃক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। মিছিলটি নগরীর এনায়েত বাজার চত্বর থেকে শুরু হয়ে মহিলা কলেজ, বৌদ্ধ মন্দির, হেমসেন লেইন, মোমিন রোড, চেরাগী পাহাড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আবু সালেহ আবিদ’র নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো: ইমরান হোসেন, কোতোয়ালী থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মীর মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, কোতোয়ালী থানা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সদস্য মঈনুল ইসলাম মজুমদার আরমান, ওমর ফারুক রুবেল, মো ফারুক, মো নুরু, সাব্বির, ওমর ফারুক, রাজু, আকতার, রনি,হানিফ বাবু,মামুন,মনু মিয়া, রিপন, জুবায়ের, মহিম উদ্দিন, মোঃ সুমন আবু তৈয়ব, আইনান প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে জনগণের জান-মাল নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দুস্কৃতিকারীদের কোন স্থান নেই কোতোয়ালী এলাকায়। আর কেউ যদি তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার দু:সাহস দেখায় তার পরিনাম হবে ভয়াবহ উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি শেখ হাসিনার দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসান তাহলে অরাজকতা-নাশকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তো হবেই। ঘুরেফিরে দেখছি দুটো শক্তিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বসে আছে। একটা স্বাধীনতা বিক্রি করার শক্তি আর একটা স্বাধীনতার বিরুদ্ধের শক্তি। তাদের বসানোর কারণেই যারা স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে। গরিমসি না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন হলে নির্বাচিত সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা থাকবে। একজন এমপিকে কিছু না কিছু ভালো কাজ করতে হয়। তবে শেখ হাসিনার এমপি নয়, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে পছন্দ করে নির্বাচিত করবে সেই এমপি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা ১৬ বছর যুদ্ধ করেছি। আমাদের কথা হলো যেই ক্ষমতায় আসুক জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।