গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামে মহানগরীর বিভিন্ন থানা হতে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে নগরীর পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন উজ্জ্বল, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, চান্দগাঁও যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন, চকবাজার থানা যুবদল নেতা মোঃ ইউসুফ, ৪৩ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ রাজু, ৩৫ নং বক্সির হাট যুবদল নেতা মোঃ সাইফুল ও মোঃ আবু ছৈয়দ, ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড যুবদল নেতা সামসুদ্দীন শামসুসহ দলের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়া যৌথ এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ এ মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, জনগণের দাবি আদায়ের এই অবরোধ কর্মসূচি, এ আন্দোলন সংগ্রামকে গ্রেফতার করে বন্ধ করা যাবে না। দেশের মানুষ দেখছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগণের বৃহৎ স্বার্থকে উপেক্ষা করে সরকার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গণগ্রেফতার করে পুরো দেশকেই আজ কারাগারে পরিণত করেছে।
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিএনপি, যুবদলসহ দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট যে আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারো রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর এই শাসকগোষ্ঠী। আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলেই তারা বিএনপিসহ সকল বিরোধী মতের উপর আবারো দমন-পীড়ন চালিয়ে আমাদেরকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে, জুলুম-নির্যাতন ও দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখা যাবে না। আমরা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দেশ ও জনগণের পক্ষে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানান।