হরতাল-অবরোধ বিরোধী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ বা মিছিল মিটিংয়ে ওয়ার্ড,থানা বা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটির যেসব নেতৃবৃন্দ অনুপস্থিত থাকবেন তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এজন্য তিনি স্ব স্ব ওয়ার্ড বা থানা কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অনুপস্থিত নেতাদের তালিকা প্রস্তুত করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে কথিত সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত চক্রের আগুন সন্ত্রাস, হত্যা, নৈরাজ্য, হামলার প্রতিবাদে জনগণের জানমাল রক্ষায় অক্সিজেন মোড় চত্বরে বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগ, বহদ্দারহাট মোড় চত্বরে চান্দগাঁও থানা আওয়ামী লীগ, মুরাদপুর মোড় চত্বরে ৮নং শুলকবহর ও ৪২ নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নেতাদের উদ্দেশ্যে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।
তিনি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলের পদপদবি ব্যবহার করবেন, দলকে নিজের স্বার্থ ব্যবহার করবেন। আর দলের প্রয়োজনে আপনারা কাজে লাগবেন না-এমনটি হতে দেয়া যাবে না। বিএনপি-জামায়াত চক্রের চলমান হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আওতাধীন ওয়ার্ড , থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকার প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে জনগণের জানমাল রক্ষায় মাঠে অবস্থান করছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই ক্রান্তি সময়ে দলের পদ পদবিতে থাকা অনেক নেতাদেরকেই আমরা পাশে পাাচ্ছি না। অথচ যারা পদপদবিতে নেই সেসব ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকেই প্রত্যেকটি কর্মসূচি মিছিল মিটিংয়ে সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। দলের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে যারা থাকেন না। তাদেরকে দলে রেখে তো লাভ নেই। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড বা থানা কমিটির শীর্ষ নেতাদেরকে এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কর্মসূচিতে অনুপস্থিত নেতাকর্মীদের তালিকা করে আমাদের কাছে জমা দেয়ার জন্য।
বিভিন্ন পয়েন্টে অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, কার্যনির্বাহি সদস্য মহব্বত আলী খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বখতেয়ার উদ্দিন খান, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকি, আবদুল নবী লেদু, আতিকুর রহমান, শেখ সরওয়ার্দী, আবদুর রহিম, আবু তাহের, সাবেক কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম শফি, কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু, রফিউল হায়দার রফি, নুরুল আবছার, এসএম খালেদ বাবলু, শাকিল আহমেদ, জামাল উদ্দিন, আবদুর শুক্কুর ফারুকী, মাহবুব আলম কোম্পানি, ইলিয়াছ সরকার, কাজী আবদুল মালেক, মঈন উদ্দিন মঈন, শামসুল আলম, মো.এয়াকুব,মো সেলিম, আবদুল মান্নান ফেরদৌস, প্রকৌশলী এএম মহিউদ্দিন অধ্যাপক এম রেজাউল করিম, প্রিয়লাল গোস্বামী, আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ সহ থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ,শ্রমিকলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।