
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক সংসদীয় আসন ভিত্তিক শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি পটিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ববিতা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, পটিয়া পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সদস্য সোহেল ইমরান, নাজিম উদ্দীন, নারী নেত্রী রওশন আকতার হেলেন, নুর নাহার করিম, উপজেলা মলিা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী সাজেদা বেগম, জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা দিলোয়ারা বেগম সুমি, সায়মন নওশিন লুনা, কৃষ্ণা রানী দাশ, জেসমিন আকতার, মর্জিনা বেগম, শিল্পী মিত্র, মো. আলমগীর, রিংকি দেব, জোৎস্না হারুন, রহিমা আকতার, মনজুরা বেগম, আলমগীর খান, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার সদরুল আমিন, রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ওবায়দুর রহমান, ইলেকটোরাল প্রোগ্রাম এসোসিয়েট তামান্না আহমেদ বহ্নি প্রমুখ।
গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, ক্ষমতায়ন ও সমতা ধরে রাখার জন্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আবারো বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নারীদের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে নারীর উন্নয়ন হয়। নারীরা শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যায়। স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি নারীদের ঘরে বন্দি রেখে লেখাপড়া ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করতে চায়। বিএনপি-জামাত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে রাতের আধারে নারী উন্নয়ন নীতি বাতিল করে নারীর অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। জাতির পিতা সংবিধানে নারীর সমতা নিশ্চিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। বাংলাদেশ আজ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। বাংলাদেশের নারীরা পুরষের চেয়ে বেশি সুযোগ চায় না। তারা সমান সুযোগ চায়। বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে রাষ্ট্র হবে শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত। যেখানে নারী-পুরুষ সমানভাবে নিজ নিজ যোগ্যতা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে নারীরা পুরুষের সমান যোগ্যতা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে, যা জাতির পিতার স্বপ্নেরই প্রতিফলন। নারীকে রাজনৈতিকভাবে দক্ষ করতে, রাজনৈতিক দলের পক্ষ হতে নারী নেত্রীবৃন্দের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রাজনৈতিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করে নারীদের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাপক হারে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। রাজনীতিতে ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংকট উত্তরণে প্রতিনিধির ভূমিকা পালন করতে পারেন নারীরা। রাজনৈতিক অংশগ্রহনে নারীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।