আজ বৃহস্পতিবার ║ ৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ১৩ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সর্বশেষ:

    মোজাহেরুল হক চৌধুরী ছিলেন নির্লোভ মুক্তিযোদ্ধা: ডা. শাহাদাত

    Share on facebook
    Share on whatsapp
    Share on twitter

    বাঁশখালীর কৃতি সন্তান মোজাহেরুল হক চৌধুরীর মতো নির্লোভ মুক্তিযোদ্ধারাই সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

    তিনি বলেন, তারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন কোন প্রাপ্তির আশা না করে। শহীদ জিয়াউর রহমানও দেশের জন্য যুদ্ধ করে ব্যারাকে ফিরে গেছেন, ক্ষমতার লোভ করেননি।

    তিনি শনিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মোজাহের মরজান স্মৃতি কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহেরুল হক চৌধুরীর ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহেরুল হক চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতি চারণ করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

    অনুষ্ঠানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকো, চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও সম্প্রতি বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

    এ সময় মেয়র বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের অবৈধ শাসনামলে চার পাঁচ বছর আগেও ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে অনেককে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নির্ভুল সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। তাই মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকৃত সংখ্যা জানানো অত্যন্ত জরুরি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করে তাদের সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করার আহবান জানায়।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজ আমরা এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারের তকমা পাচ্ছেন, আর যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন, তারা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে গর্ব করছেন। মোজাহেরুল হক সাহেবের আত্মা তখনই শান্তি পাবে যখন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানের প্রকৃত ভাগীদার হবেন।

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সাম্যতা, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা এবং গণতন্ত্রের জন্য হয়েছিল। কিন্তু আমরা এখনো সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এ জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করব।

    তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারব না, ততক্ষণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূর্ণতা পাবে না। আমাদের বিভক্তি কাটিয়ে দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।

    মোজাহের মরজান স্মৃতি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মারুফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান এবং এড. নেজাম উদ্দিন খানের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম ইউছুপ, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মহানগর পিপি এড. মফিজুল হক ভূইয়া, জেলা জিপি আবুল কাশেম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, মো. কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম হোসাইনী, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আবদুল আজিজ, লোকমান মাষ্টার, এড. জাহাঙ্গীর আলম, নবাব খান, আবদুল বাতেন, ছগির আহমেদ, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, জসিম মিয়া, হাসান উসমান চৌধুরী প্রমূখ।

    Share on facebook
    Share on twitter
    Share on whatsapp
    Share on linkedin
    Share on telegram
    Share on skype
    Share on pinterest
    Share on email
    Share on print