আজ বৃহস্পতিবার ║ ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ বৃহস্পতিবার ║ ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ║ ৩রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ:

    আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে সাইফুজ্জামান চৌধুরী’র বিকল্প নেই

    Share on facebook
    Share on whatsapp
    Share on twitter

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি গত তিনবারের এমপি। ২০১৩ সালের উপ-নির্বাচনে প্রথমবার এমপি হন। ২০১৪ সালে এমপি হয়ে ভূমি প্রতিমন্ত্রী। ২০১৮ সালে আবারো একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হলেন। এ আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সমকক্ষ শক্ত কোন প্রার্থী নেই। এমনকি নির্বাচনী পরিবেশ দেখে স্থানীয়রা মনে করছেন, আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে সাইফুজ্জামান চৌধুরী’র কোন বিকল্প নেই।

    অন্যান্য দল থেকে যে ছয়জন প্রার্থী আছেন তাঁদের কাউকে ভোটাররা চেনেনই না। এমনকি এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীকেও চেনেন না। যার ফলে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তবে ভোটের মাঠে সমকক্ষ প্রতিদ্বন্দী না থাকলেও ভোটার উপস্থিতিই এখন মূল চ্যালেঞ্জ এ প্রার্থীর। ভোট কেন্দ্রে যদি ভোটার কম যায়, সেক্ষেত্রে অন্য প্রশ্ন এসে দাঁড়াবে। এ জন্য ভোটাদের কেন্দ্রে মূখী করতে নেতাকর্মীদের ঘাম ঝরাতে হবে।

    এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনাটাই তাঁদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই প্রচারণা শুরু করেছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

    এ আসনে বাকি ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- তৃণমূল বিএনপি থেকে মকবুল আহম্মদ চৌধুরী (সোনালী আশঁ), জাতীয় পার্টি থেকে আবদুর রব চৌধুরী (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোহাম্মদ আবুল হোসেন (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন (চেয়ার), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মো. আরিফ মঈন উদ্দীন (একতারা) ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মৌলভী রশিদুল হক (বটগাছ)।

    অনেকেই বলেছেন, বাকি ৬ প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও তাঁরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁরা হয়তো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যদিও হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে।

    স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় বেশ স্বস্তিতে আছেন। দলের মধ্যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী না হওয়ায় সার্বিক বিবেচনায় নৌকা এগিয়ে। অন্য দলগুলোর শক্ত প্রার্থী না থাকায় বিজয়ী হবে নৌকা এটা অনেকটা নিশ্চিতভাবেই সবাই বলছেন।

    চট্টগ্রাম-১৩ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আবদুর রব চৌধুরী টিপু বলেন, ‘প্রচারণা ও গণসংযোগে আছি। তবে এখনো জনসভার কোনো পরিকল্পনা নেই। ‘ তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মকবুল আহম্মেদ বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চলতেছে। আমি প্রচারণায় আছি। এখনো পর্যন্ত সুন্দর ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছি।’

    বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালাবো ধাপে ধাপে। এখনো পর্যন্ত কোনো রকমের বাঁধা আসেনি।’

    জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে দুটি উপজেলা। আনোয়ারা ও কর্ণফুলী। আনোয়ারায় ১১টি ইউনিয়ন ও কর্ণফুলীতে ৫ টি ইউনিয়ন। আনোয়ারায় ভোটকেন্দ্র ৭২ টি, কর্ণফুলীতে ৪৬টি মোট দুই উপজেলায় ১১৮টি। আনোয়ারায় ভোটকক্ষ ৪৮৪টি, কর্ণফুলীতে ২৬৮টি মোট ৭৫২টি কক্ষ।

    আনোয়ারায় পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২২ হাজার ১১৭ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ৪৯০ জন। কর্ণফুলীতে পুরুষ ভোটার ৬৭ হাজার ১২৬ জন ও মহিলা ভোটার ৫৯ হাজার ১৩১ জন। দুই উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন।

    Share on facebook
    Share on twitter
    Share on whatsapp
    Share on linkedin
    Share on telegram
    Share on skype
    Share on pinterest
    Share on email
    Share on print

    সর্বাধিক পঠিত

    আমাদের ফেসবুক

    আমাদের ইউটিউব

    সর্বশেষ খবর