
কারিগরি শিক্ষার্থীদের মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে ‘স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২৫’শীর্ষক চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অ্যাসেট (ASSET) প্রকল্প উদ্ভাবনী চিন্তা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের অনন্য এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।
১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩৮টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৪২ জন নির্বাচিত শিক্ষার্থী ১১৪টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করে। এর মধ্য থেকে সেরা ৯টি উদ্ভাবন আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শোয়াইব আহমাদ খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদীন এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক (উপসচিব) কাজী ফারুক আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পাঠান মো. সাইদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজওয়ানুল হক।
‘স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন’ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি, কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক একটি সেমিনার এবং দিনশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি, মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, শিল্পকারখানা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং অভিভাবকসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২৫ এর প্রাতিষ্ঠানিক পর্ব গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ২১১টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১০ হাাজার শিক্ষার্থী ৩ হাজার ২০৯টি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করে। এ পর্যায়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩টি করে প্রকল্প আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বাছাই করা হয়। প্রতিযোগিতাটির জাতীয় ও চূড়ান্ত পর্ব আগামী ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এবং সারাদেশের ৮টি অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত মোট ৫০টি উদ্ভাবনী প্রকল্প এতে অংশগ্রহণ করবে। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী তিনটি উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্ভাবকদের আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে।










