চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশ রক্তের স্রোতের ওপর পরিচালিত হয়েছিল। একটি দানবীয় স্বৈরশাসক বাংলাদেশকে গণহত্যা ও গুম-খুনের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। আমরা সেই দানবীয় খুনি শেখ হাসিনার বিচার চাই। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত এনে দ্রুত বিচার কাজ শেষ করতে হবে। নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের শত শত নিরীহ ছাত্র-জনতাকে নির্বাচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের টাকায় কেনা বুলেট আমাদের সন্তানদের বুকে চালানো হয়েছে। জনতার তোপের মুখে গণখুনি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখনো সর্বক্ষেত্রে তার দোসররা রয়েছে। খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে এবং তার দোসরদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষ এই গণখুনিদের কখনো ক্ষমা করবে না। এসময় তিনি আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী যাতে দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন ধরনের অন্যায়, অত্যাচার সহ্য করা হবে না, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে দল থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে দেন।
২১ আগস্ট (বুধবার) বিকালে গত ১৫ বছরে হাজার হাজার নেতা কর্মীকে গুম-খুন-জখম, ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তান্ডব, রাতের অন্ধকারে শাপলা চত্বরে শত শত আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্রকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা, নিরাপদ সড়ক ও সর্বশেষ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হাজার অধিক শিশু- ছাত্র-যুবক হত্যা ও জখমের সরাসরি নির্দেশদাতা খুনি হাসিনা ও তার দানবীয় বাহিনীর বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল নগরীর ওয়াসা মোড় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদ বলেন, শত শত শিক্ষার্থী-জনতার জীবনের বিনিময়ে দীর্ঘদিনের বৈষম্যের শিকল ভেঙ্গে আমরা আজকের এই স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসর তথা ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও থেমে নেই। তাই আমাদের বসে থাকলে চলবে না, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে প্রাপ্ত এই স্বাধীনতা আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। যার হুকুমে অকালে এতো প্রাণ ঝরে গেলো সেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যারা যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার করবে, হুমকি ধামকি, চাঁদাবাজি, জবর দখল, লুটপাটের চেষ্টা করবে, তাদের কেউ রেহাই পাবেন না। দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
এতে মহানগর যুবদলের সি. সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, আজমুল হুদা রিংকু, ফজলুল হক সুমন, আব্দুল গফুর বাবুল, মিয়া মো. হারুন, মুজিবুর রহমান, অরূপ বড়ুয়া, মো. আলী সাকি, যুগ্ম সম্পাদক মো. এরশাদ হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, শাহীন পাটোয়ারী, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, শাহজালাল পলাশ, জাফর আহমেদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, আজিজুর রহমান মাসুম, গাজী ফারুক, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, সহ সম্পাদক কমল জ্যোতি বড়–য়া, কামরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, হামিদুল হক চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন আনু, আরিফ হোসেন, আবুল কালাম, হাফেজ কামাল উদ্দিন, ফারুক হোসেন স্বপন, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, হোসেন উজ জামান, মো. ইউসুফ, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সদস্য আফসার উদ্দোলা অপু, লতিফুর বারী সুমন, শাবাব ইয়াজদানী, মাহবুব খান জনি, সোহাগ খান, সাইদুল হক সিকদার থানা যুবদলের আহবায়ক শফিউল আজম, বজল আহমেদ, সদস্য সচিব শওকত খান রাজু, তাজ উদ্দিন তাজু, সি. যুগ্ম আহবায়ক নুর খান, সাইফুল আলম রুবেল, মোহাম্মদ ইয়াছিন, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, মো. আকতার, মো. জাবেদ, সোলায়মান হোসেন মনা, মোহাম্মদ হাসান, মো. মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।