পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রচারনার একটি মাইক ভাংচুর করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ইমতিয়াজুল ইসলাম রাফি (১৯), ও সাইফুল ইসলাম (২০)। (২৬ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর এপিএস খ্যাত এমএ এজাজের নেতৃত্বে দেন। হামলার এক পর্যায়ে মাইক ভাংচুর করা হয় এবং নৌকা প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ানো হয়। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার ২৭ ডিসেম্বর হরিণখাইন নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফয়সাল পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানাগেছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চট্টগ্রাম-১২(পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর গত ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন ইউনিয়নে সিএনজি যোগে নৌকার প্রচারণা প্রচার কালে কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় পৌঁছে সড়কের উপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থিত নুর উর রশিদ চৌধুরী এজাজ নেতৃত্বে ১৫/২০ জন প্রচারনার সিএনজি অট্রোরিক্সাটি দাড়াঁতে বলে। এ সময় এজাজ তার সাথে লোকদের বলে এদের গাড়ি থেকে নামাতে বলার সাথে সাথে সিএনজি চালক ও প্রচারণা কাজের থাকা নৌকার সমর্থক ইমতিয়াজুল ইসলাম রাফি ও সাইফুল ইসলাম এর উপর অর্তকিত হামলা চালায়। তাদের হাতে থাকা লাঠি সোঠাসহ দেশিয় অস্ত্র-সন্ত্র দিয়া তাদেরকে উপর্যপুরি আঘাত করিয়া হাতে, পায়ে, কোমড়ে মারাত্মক নীলাফুলা জখম করে। তারপর বিবাদীগন প্রচারণায় ব্যবহৃত সিএনজিতে প্রচারণার মাইক ভাংচুর করে এবং গাড়িতে লাগানো নৌকা প্রার্থীর পোস্টার ছিড়ে পেলেন। এ সময় তাদের শোর-চিৎকারে আশপাশ হইতে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীগণ উক্ত বিষয়ে কোন প্রকার মামলা-মোকদ্দমা করিলে আমাকেসহ আমাদের দেখে নিবে, মারিবে, কাটিবে, মিথ্যা মামলায় জড়াইয়া হয়রানী করিবে এবং সুযোগমত একা পাইলে প্রাণনাশ করিবে মর্মে হুমকি দিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে অভিযোগ উল্লেখ করেন।
পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম শামসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা এজাজের নেতৃত্বে কিছু যুবক মাইক ভাংচুর করা হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশকে অবহিত হয়েছে। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নৌকা প্রচারণায় মাইক ভাংচুর ও কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করলেও অদৃশ্য কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনার ও জেলা প্রশাসকসহ পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।