চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এইচ বি রাফসানের বিরুদ্ধে প্রায় ২ ডজন মেয়েদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নাট্যকলা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের এক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ছাত্রী। আমার সাথে কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশ স্টাডিজের ছাত্র এইচ.বি রাফসানের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমি তার দুই বছরের সিনিয়র হওয়ার পরও সে আমাকে পরিবারের কথা বলে বলে তার প্রতি আগ্রহ করে তুলে। আমাদের অনেকদিন যাবৎ সম্পর্ক ভালো ছিল। তার পরিবার অর্থাৎ তার মায়ের সাথে ভালো যোগাযোগ ছিল। তার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন তার মা আমাকে বলে তার সাথে সবসময় থাকতে।
এজন্য আমাকে তার সাথে থাকতে হয় এবং রাত ৩ টার সময় পর্যন্তও তাকে মেডিকেলে নিতে হয়। সে আমার সাথে রিলেশন থাকা অবস্থায় এবং অসুস্থ থাকা অবস্থায় মেডিকেলে অনেক মেয়ে তাকে কল করে। যার কারণে আমি বুঝতে পারি সে এবং তার মা আমার সাথে প্রতারণা করছে। সে কায়দা করে চট্টগ্রামে এফিনডিক্স অপারেশন না করে রাজশাহীতে চলে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তার অসুস্থাতা দেখে আমি তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেই। সে সুস্থ হওয়ার পর আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং প্রতারণা করে।
এদিকে, প্রক্টর অফিসে অভিযুক্তকের মোবাইলে প্রক্টরিয়াল বড়ির তল্লাশিতে প্রমাণ স্বরূপ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। এাসময় তার হোয়াসঅ্যাপে অন্তত দুই ডজন মেয়ের সাথে ছলনার প্রেমের সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার মেয়েরা এই প্রতারণার শিকার। সকল মেয়েকে বলতো আমার বাবা মা স্টোক করে মারা গেছে। আমি এতিম। এতিমকে কেউ ভালোবাসেনা। এমন ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েদেরকে তার দিকে আকৃষ্ট করতো।
এই সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মো.হায়দার আরিফ বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তার মোবাইলে ভুক্তভোগীসহ প্রায় দুইডজনের উপরে মেয়েদের সাথে প্রতারণার প্রমান পাওয়া গেছে। এই অভিযোগপত্র ছাত্র উপদেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে যাবে। তারপর বাকিটা আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিবো। এখন অভিযুক্তকে আপাতত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।