হামাস-ইসরাইল সংঘর্ষে কুরুক্ষেত্র মধ্যপ্রাচ্য। কার্যত ধ্বংসস্তূপ গাজা সীমান্তবর্তী এলাকা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরাইলে প্রায় এক হাজার এবং ৮৩০ ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৮০০-র বেশি মানুষ এখনো পর্যন্ত নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
জিও নিউজ জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজা স্ট্রিপের (উপত্যকা) বিরুদ্ধে ইসরাইলের স্থল আক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ ইসরাইল ‘সম্পূর্ণ অবরোধে’র পদক্ষেপ বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ গাজায় বিদ্যুৎ, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির মহাসচিব হুসেইন আল-শেখ মঙ্গলবার বলেছেন, গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল।
তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানবিক প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আগ্রাসন বন্ধ করতে, ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিতে এবং বিদ্যুৎ ও পানি পুনরুদ্ধার করার জন্য জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ গাজা উপত্যকা একটি বড় মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় বিমান হামলার কারণে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উভয়পক্ষই শত্রুতায় লিপ্ত থাকার ফলে পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি ঘটছে, যা এই অঞ্চলের মানবিক সংকট তীব্রতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলে আক্রমণের কথা জানতেন না হামাসের অনেক নেতাও
এদিকে আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাসের কাসাম ব্রিগেড বলেছে যে, তারা ইসরাইলি বেসামরিক জিম্মিদের তারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শুরু করবে যদি ইসরাইল কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বেসামরিক আবাসিক এলাকায় আরেকটি বোমা ফেলে।