চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আকস্মিক বন্যায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামে জেলার পর জেলা প্লাবিত হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। জীবন ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই অবস্থায় জনগণের দল হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা চট্টগ্রামের বন্যায় আটকে পড়া অসুস্থ, আহত ও প্রসূতি মা বোনদের জন্য ফ্রি এম্বুলেন্স সেবা চালু করেছি। বন্যাকবলিত অঞ্চলে দুই হাজার মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ওষুধের সহায়তা প্রদান করেছি। তিনি চট্টগ্রামবাসীকে দলমত নির্বিশেষে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি রবিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে ফটিকছড়ি, নাজিরহাট, সুরকা হাট ও সোয়াবিল এলাকায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার আলমগীর।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আপনারা দয়া করে কারও রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিচয়কে প্রধান্য দেবেন না। আপনারা সমন্বিতভাবে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বন্যাকবলিত অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও সেটি পূর্বাঞ্চলের বন্যার মূল কারণ নয়। বরং এবারের বন্যার মূল কারণ উজানের দেশ প্রতিবেশি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনা। হঠাৎ করে বাঁধ খুলে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবিয়ে দিলেও একটি বারের জন্যও বাংলাদেশকে আগাম কোনো সতর্কতা দেয়নি তারা। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে নিলেও বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সামান্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগও পায়নি।
ত্রাণ বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন দুবাই বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম স্বপন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ।