সন্দ্বীপের জন্মলগ্নের পর সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত সন্দ্বীপ দশ শয্যা হসপিটালটি ১৯৯৪ সালে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর এটি স্থানান্তর হয় সন্দ্বীপ পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের মোমেনা সেকান্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সাইক্লোন শেল্টারে। সেই থেকে জরাজীর্ন ভবন,ডাক্তার সংকট ও নানা অব্যবস্থাপনায় সামান্য আউটডোর সেবা চালু রয়েছে নাম ফলকটিকে বাঁচিয়ে। নানান ষড়যন্ত্র করে সেটিও অন্যত্র স্থানান্তর বা ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছিলো । সেটি ঠেকাতে নেওয়া হয়েছিলো আইনগত ব্যবস্থাও। সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ সময় ধরে এলাকার জনগন ও জনপ্রতিনিধি মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম সহ অনেকে এটিকে ঢেলে সাঁজানোর চেষ্টা করেছেন বার বার। গত কয়েকবছর ধরে নতুন ভবন নির্মানের জন্য বরাদ্ধ আসলেও বিনা শর্তে স্বাস্থ্য বিভাগকে জায়গা প্রদানের অভাবে সে উদ্যোগ ব্যর্থ হয় বারবার। অবশেষে সে জায়গা প্রদানে এগিয়ে আসলো
হরিশপুর জনকল্যান সমিতি ইউএসএ। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সেই ভবন নির্মানের জন্য ১শ শতক বা একর জমির দলিল হস্তান্তর করলো হরিশপুর জনকল্যান সমিতি ইউএস।
উক্ত দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের মূ্ল নেতৃত্বে ছিলেন পৌর মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম। দলিল গ্রহন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মানস বিশ্বাস, সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম। জনকল্যান সমিতি ইউএসএর পক্ষে দলিল হস্তান্তরের দায়িত্ব পালন করেন ডা. মাওলানা কাজী আফচার।
উক্ত দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন হরিশপুর জনকল্যান সমিতি ইউএসএ প্রায় ২ কোটি টাকা মুল্যের ১শ শতক জায়গা প্রদান করে সন্দ্বীপ পৌরসভা সহ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করতে বিশাল ব্যয়ে এই জায়গাটি প্রদান করে একটি বিশাল মানবিক কাজ করেছে। উক্ত জায়গা প্রদানে সমিতির সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম,উপদেষ্ঠা মোঃ হাশেম ও সভাপতি মোঃ সিরাজদৌল্ল্যার প্রশংসনীয় উদ্যোগ ও সমিতির সকলের কষ্টার্জিত টাকায় এ জায়গা প্রদান করায় আমরা সন্দ্বীপ বাসী তাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রদান করছি। তার আজ একটি চমৎকার নজির স্থাপন করে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলো।