দীর্ঘদিন সুনামের সহিত ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে শ্রমিক আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক দল। সদ্য পতিত ফ্যাসিবাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল সবসময়। অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি কখনো। শ্রমিকদলের সুনাম সহ্য করতে পারছে না একটি চক্র। ফলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সুনাম নষ্ট করে বিশেষ ফায়দা লুটতে চাইছে চক্রটি। সম্প্রতি সিআরবিতে টেন্ডার ডকুমেন্টস ছিনতাইয়ের ঘটনার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের জেরে গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এমন দাবি করছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এর আর মঞ্জু।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৪ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকে “চট্টগ্রামে রেলের দরপত্র ছিনতাই, দুই পক্ষের হাতাহাতি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক দলের বক্তব্য নিম্নরূপঃ-
১। প্রতিবেদনে ঘটনার বিবরণ কালে বর্ণিত সংশ্লিষ্ট কেহ কেহ নিজেকে “রেলওয়ে শ্রমিক দলের কর্মী” পরিচয় দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বস্তুত উক্ত নামের ব্যক্তিদের কেহই রেলওয়ে শ্রমিক দলের কর্মী নয় এমনকি প্রাথমিক সদস্যও নন।
২। জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক দল একটি পরিশীল ট্রেড ইউনিয়ন। রেলের ইতিহাসে প্রথম বারের মত গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কোনো ট্রেড ইউনিয়ন নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি রফিকুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ইমেজের শ্রমিক নেতা এম আর মনজুর নেতৃত্বে পরিচালিত সংগঠনটির কোনো স্তরের নেতা কর্মীর কেহই এই ধরনের আইন বহির্ভূত কাজের সাথে নূন্যতম সংশ্লিষ্ট থাকার প্রশ্নই উঠেনা।
৩। বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামে স্বৈরশাসনের সব নির্যাতন নিপিড়ন মাথায় নিয়েও অত্র ইউনিয়ন শ্রম অধিকার ও ভোটাধিকারের সংগ্রামে মাঠে থেকে সদা সত্রিনয় ভুমিকা রাখতে পেরেছে কেবল মাত্র সৎ ও গ্রহনযোগ্য নেতৃত্বের সুবাধে, যা দেশের সরকারী/স্বায়ত্বসাশিত অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। কেবল মাত্র নিষ্ঠা, সততার সাথে আইনানুগ সীমারেখার মধ্যে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে রেলওয়ে এবং রেল শ্রমিকদের কল্যাণে অত্র সংগঠন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলছে।
৪। তবে রেলের বিভিন্ন দপ্তরে বিশেষ করে সিআরবিতে বিগত ফ্যাসিবাদের সময়ে যারা টেন্ডার কেলেঙ্কারী ও বে আইনী কাজের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের সহযোগী ও সুবিধা ভোগিরাই এহেন নিন্দনীয় কাজ অব্যাহত রাখছে বলে অত্র সংগঠন মনে করে।