বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে ১৬ অক্টোবর দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালকবৃন্দ এ. কে. এম. আক্তার হাসেন, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, ওমর মুক্তাদির, দূতাবাসের কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট আবির বড়ুয়া এবং চেম্বার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসে প্রথমবারের মত কমার্শিয়াল কাউন্সেল চালু করার বিষয়টি প্রমাণ করে বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা আমাদের বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের ফসল। তাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। কেননা, সাম্প্রতিক অবকাঠামগত উন্নয়ন ও বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে চায়না ও ভিয়েতনামের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি অন্যতম ম্যানুফ্যাকচ্যারিং হাব হয়ে উঠতে পারে। চেম্বার সভাপতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানী, পেট্রোলিয়াম, লেদার, জুট, ফুড প্রসেসিং, এগ্রো, হেলথ ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান এবং চেম্বার থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জন ফে বলেন-বাংলাদেশে অবকাঠামো ও কানেক্টিভিটির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান মাথাপিছু আয়ের ১৭ কোটি মানুষের বিশাল ভোক্তা বাজারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের ও আগ্রহ বাড়ছে। তবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত পলিসি সহজতর করা জরুরী। এছাড়া লজিস্টিক খাতে উন্নত অবকাঠামোর পাশাপাশি কাস্টমস ও পোর্টসহ প্রয়োজনীয় সেবাসমূহের নীতিগত সহজীকরণ ও সময় সাশ্রয়ী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তিগত আধুনিয়কায়নে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে চিটাগাং চেম্বারের সাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন-বাংলাদেশে বিপুল যুব সমাজকে সঠিক কারিগরী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে কাজ করার আহবান জানান।