চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১ নং গেইট থেকে মুরাদপুর যাওয়ার পথে বাস হেল্পারের হেনস্থার শিকার হয় এক শিক্ষার্থী। অযৌক্তিক ভাড়া দিতে না চাইলে বাসের হেল্পার ‘মেরে হলেও ভাড়া নিবো’ বলে মারতে উদ্ধত হয় শিক্ষার্থীটিকে।
গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) সহ ছয় দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মফিজুল আলম।
ঐ শিক্ষার্থী ছয় দফা দাবিতে উল্লেখ করেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে, ‘যাত্রী হেনস্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, ভাড়ার তালিকা ও নিয়মাবলী সঠিকভাবে প্রদর্শন করতে হবে, শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে হাফ-পাশ দিতে হবে, ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।’
এবিষয়ে মফিজুল আলম বলেন, “গতকাল আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইট থেকে মুরাদপুর যাওয়ার জন্য ৩ নম্বর বাসে উঠি। বাসে উঠার পর ফতেয়াবাদ পার হলে বাসের হেল্পার আমার কাছে ভাড়া নিতে আসলে আমি যৌক্তিক ভাড়া ১৫ টাকা দেই। কিন্তু সে এই ভাড়া নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ২০ টাকা দাবি করলে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। তারপর সে কিছুক্ষণ পর আবার আমার উপর চড়া হয়ে অযৌক্তিক ভাড়া দাবি করে। আমি বাসের হেল্পারকে ভাড়ার চার্ট দেখাতে বললে সে তা দেখাতে পারে নি। তখন সে ‘ মেরে হলেও ভাড়া নিবো’ বলে আমাকে মারতে উদ্ধত হয়। এরপর আমি বাসটিকে মুরাদপুর পুলিশবক্সে দাড় করিয়ে অবস্থানরত পুলিশদের ঘটনা খুলে বলি। তারা বাসের কাগজপত্র চেক করে। আমি পাঁচলাইশ থানায় জিডি করি। আমরা জিডির কপি সহ আমাদের ৬ দফা দাবির স্মারকলিপি প্রক্টর স্যারের কাছে জমা দিয়েছি । আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”
অভিযুক্ত বাসের চালক আনিস উদ্দিন বলেন, হেল্পারের সাথে ওনাদের একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। মূলত এটা হেল্পারের ভুল ছিলো। সে তো অশিক্ষিত লোক কীভাবে কথা বলতে হয় সেটাও জানে না। আমি ওর হয়ে ওদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। হেল্পার শিক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ করতে পারে না।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, ” ৩ নম্বর বাস মালিক সমিতির প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারিকে পাওয়া যাচ্ছে না। শীঘ্রই আমরা এ বিষয়টির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসেস শুরু করব। এছাড়াও সারাদেশে মেট্রোপলিটন এলাকায় শিক্ষার্থীদের হাফ-পাশের বিষয়েও মিটিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”