আজ শনিবার ║ ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ শনিবার ║ ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ:

    মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক মিনহাজ

    Share on facebook
    Share on whatsapp
    Share on twitter

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সংবাদ কর্মী আবুল হাসনাত মিনহাজ খালাস পেয়েছেন। বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জহিরুল কবির।

    নগরীর বাকলিয়া এলাকায় ভাইরাল হওয়া একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ৮ জনের বিরুদ্ধে সাইবার পিটিশন মামলা দায়ের হয়। গত ২০ জুলাই ২০২২ইং তারিখ চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানীয় এক ব্যক্তি জনৈক মোহাম্মদ জানে আলম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর তদন্ত শেষে মামলার এজাহার নামীয় ১ নাম্বার আসামী মোহাম্মদ আজমীর শাহকে বাদ দিয়ে এজাহার বহির্ভূত স্থানীয় সাংবাদিক আবুল হাসনাত মিনহাজকে প্রধান করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন চট্টগ্রাম মেট্রো পিবিআই। এদিকে মামলায় জব্দকৃত আলামতের ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্টে সত্যতা মিলেনি।

    আরেকটি মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দিয়েছিল ২০২৪ সালের ফ্রেবুয়ারী মাসের ২তারিখে। চট্টগ্রামে নেত্রকোনা দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়রের একান্ত সহকারীকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে পাঁচজনকে আসামী করে গত ৩০ জুলাই ২০২২ সালে একটি মামলা করেন বাদী সাগর খান নামে এক যুবক। এই মামলায় চট্টগ্রামের কর্মরত সংবাদকর্মী আবুল হাসনাত মিনহাজ’কে ৫ নং আসামী করা হয়। এই মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

    আবুল হাসনাত মিনহাজ পূর্বে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক ইনফো বাংলা পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার ও চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আপ্যায়ন সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিক আবুল হাসনাত মিনহাজ’র আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার।

    খালাস পেয়ে আবুল হাসনাত মিনহাজ বলেন, ‘মামলার এজাহারে বর্ণনা করা ঘটনার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল ছিল না। আদালতে দাখিল করা বিভিন্ন নথিপত্র ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক পর্যালোচনা করে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে খালাস দিয়ে রায় দেন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক। গত ২০২৪ সালের ১১-০২-২০২৪ সালে আরেক মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলাম। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরতে গিয়ে মামলার আসামী বানিয়ে দেয় স্থায়ী আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতারা। আমাকে মামলা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে আমার পরিবারকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হয়। আজও তা অব্যাহত আছে। কিন্তু, মিথ্যার পরাজয় হবেই। আর সেজন্য আমি মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছি।’

    সাংবাদিক আবুল হাসনাত মিনহাজের মা জান্নাতুল ফেরদৌস এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে এলাকায় সবসময় মানুষের উপকারে কাজ করে।সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলো ছোট থেকেই।পত্রিকায় কাজ করার পর স্থানীয় ভাবে বালিমহল ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে গেছে আমার ছেলেকে। আমার ছেলের উপরে সব সময় মানুষের দোয়া আছে, ছোট থেকে মিনহাজ অন্যায় করেনি, এলাকার উন্নয়নে কাজ করে গেছে সবসময়।’

    Share on facebook
    Share on twitter
    Share on whatsapp
    Share on linkedin
    Share on telegram
    Share on skype
    Share on pinterest
    Share on email
    Share on print

    সর্বাধিক পঠিত

    আমাদের ফেসবুক

    আমাদের ইউটিউব