বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় সাইক্লোন মোকায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে যৌন নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ কঠোরভাবে বন্ধ, শিশু সুরক্ষা ও প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ নিয়ে অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) আইএসডিই মহেশখালীর কালারমারছড়াস্থ প্রকল্প কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডন্টে এস এম নাজের হোসাইন। অনলাইনে সহায়ক হিসাবে যুক্ত ছিলেন ব্র্যাক এইচসিএমপি কক্সবাজারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, ব্র্যাক কক্সবাজারের সেইফগার্ডিং প্রধান আয়েশা আক্তার মুন্নি। আলোচনায় অংশনেন আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মারুফুল ইসলাম, আইএসডিই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা রেসপন্স এর কক্সবাজারের প্রধান মোঃ জসিম উদ্দীন সিদ্দীক, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। অরিয়েন্টেশনে আইএসডিই বাংলাদেশের মহেশখালী ইউনিটের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অরিয়েন্টেশনে ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহায়তায় সাইক্লোন মোখা রেসপন্স প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘূর্ণীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির জন্য পুর্নবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও তার বিস্তারিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। একই সাথে প্রকল্পের কাজে প্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্তকরণ, নারীদের অংশগ্রহন ও মর্যদা সমুন্নত রাখা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও প্রকল্প উপকারভোগী ও প্রকল্পের সাথে জড়িতদের নারীর প্রতি সম্মানজনক ও মর্যদাপূর্ন আচরন ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নারী ও শিশুর প্রতি যৌণ হয়রানি বন্ধে শুণ্যসহনশীলতা প্রদর্শনের বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। নারী ও শিশুর প্রতি যে কোন শোষন, অন্যায় আচরন ও হয়রানি বিষয়গুলো নিরবে সহ্য না করে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষের হটলাইনে অবহিত করার পরামর্শ দেয়া হয়।
অরিয়েন্টশনে বলা হয়, নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি, শোষন বা অমর্যদাকর অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের বিষয়ে আইএসডিই শুন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করছে। যার মাধ্যমে স্থানীয় জনগন, উপকারভোগী ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইএসডিই পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি সুষ্ঠু ও নারী বান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে সংস্থার দৃঢ অঙ্গীকারের পুনরাবৃত্তি করা হয়।
সভায় অভিমত প্রকাশ করে বলা হয়, আবহমান কাল থেকেই নারীরা আমাদের সমাজ ও পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি পরিপূরক হিসেবে ঘরের কাজ ও বাইরের কাজ দুটোই সমানতালে চালিয়ে আসছে। সেকারনে নারীদের বাদদিয়ে উন্নত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের চিন্তা করা বাতুলতা ছাড়া কিছুই নয়। তাই নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের বৈষম্যমূলক ও অমর্যদাকর আচরণ সভ্য সমাজে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হয়। একই সাথে প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে না পারলে বিশাল একটি অংশ উন্নয়নের মহাযজ্ঞ থেকে ছিটকে পড়বে। তাই কাউকে বাদ দিয়ে সমাজ কোনভাবেই সমাজ উন্নতির শিহরে আরোহন করতে পারবে না।