চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বিএনপি-জামাতকে মানবতা ও স্বাধীনতা বিরোধী পাপিষ্ট শনিগ্রহ হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, এই শনিগ্রহ অশুভ শক্তির যমদূত। এরা মানবতার শত্রু। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। তারা তাদের অযৌক্তিক ও অরাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ হানির খেলায় মেতেছে। এই অশুভ শক্তিকে ছাড় ও প্রশ্রয় দেওয়ার কোন অবকাশ নেই। নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে ছাত্র ও যুব শক্তিকে সবচেয়ে অগ্রবর্তীর ভূমিকায় ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি রোববার (১৯ নভেম্বর) চান্দগাঁও সিএন্ডবি মোড়ে নাশকতা, নৈরাজ্য ও অযৌক্তিক হরতাল বিরোধী কর্মসূচির অংশহিসেবে চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জনগণের জানমাল রক্ষায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। তাই সংবিধান সম্মতভাবে ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবেই। এক্ষেত্রে কোন বাধা এলে সে বাধা জনগণকে সাথে বালির বাঁেধর মতো উড়িয়ে দেওয়া হবে। আমি আশা করি ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে লাঠি বুকে বল নিয়ে রাজপথে আছে এবং থাকবেই। চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: নুরুন নবী শাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই এলাকাটি মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক উজ্জ্বল ঘটনার স্বাক্ষী। এখানে অবস্থিত কালুরঘাট চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে ট্রান্সমিটার সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রথম পাঠ করেছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম.এ হান্নান। কালুরঘাট সেতুর এপারে-ওপারে পাক হানাদার বাহিনীর প্রতিরোধ যুদ্ধের সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন তৎকালীন ইস্টবেঙ্গল রেজিম্যান্ট ও ইপিআরের বাঙালির সৈনিক এবং বীর জনতা। অথচ দুভার্গ্যরে বিষয় এলাকাটিতে ৭৫এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির আধিপত্য বিস্তারিত হয়েছে। তাই এই এলাকাটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং স্পট। আমাদের প্রত্যয় হউক এদের নির্মুল করা এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা এ আসনে যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন তাকেই যেকোন মূল্যে তাঁর বিজয় নিশ্চিত করা। এই অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলিগ নেতা, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, মো: গাজী মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ, শামসুল আলম, শিবু প্রসাদ চৌধুরী,এএম কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, ওমর খৈয়ম তৈয়ব, মো জসিম, ওসমান গনি আলমগীর, কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল, কাজী নূরুল আমিন মামুন, মো: জসিম উদ্দিন, মোঃ দেলোয়ার, সেলিম উদ্দিন জয়, সাবেক ছাত্রনেতা মো: ইলিয়াস উদ্দিন, মো: ওয়াহিদ, সাইফুদ্দিন সান্টু, এম.এস মাসুদ হোসেন, আমির হাসান, আসফাক হোসেন খান, মো: আয়েস, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নেজাম উদ্দিন, নুরুজ্জামান রিপন, তরিকুল ইসলাম তানিম, জাবেদ হোসেন জিকু, আজিম উদ্দিন তালুকদার, মোহাম্মদ মেজবাহ, শ্রমিক লীগের সভাপতি আজগর আলী তালুকদার, সহ-সভাপতি মোরশেদ খান, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য ইমাম উদ্দিন নয়ন, মাহামুদুল করিম, মনিরুল ইসলাম,আনোয়ার পলাশ ,চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগ নেতা দিদারুল হাসান শাহীন, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মদ সানি, আবু সাঈয়েদ মুন্না, মো: সালাউদ্দিন আরজু, মো: সোহেল তালুকদার, মো: জিয়া, মোঃ পিপলু, আফতাব উদ্দীন তাহাসিন, নাইম উদ্দীন বিজয়, মোঃ মিজানুর রহমান মানিক, মোহরা ৫নং ওয়ার্ড চাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর দাশ, আমিনুল ইসলাম রোহান, হাসান সামির, সদস্য মাহি আল ফয়সাল, ফাহিম শাহ, মো: হৃদয়, জুলফিকার আশিক, মো: মিনহাজ, মো: সাকিব, সৌরজিৎ মুন্না, রিগান দাশন প্রমুখ।