বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান আবুল হোসেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন তিনি দেশের আইন অঙ্গনের মানুষের কাছে এএইচএম জিয়া উদ্দিন নামে পরিচিত। তিনি চট্টগ্রাম-১৬ সংসদীয় আসন বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে। চট্টগ্রাম ছাড়াও বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী পরিবারেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের জন্যও এএইচএম জিয়া উদ্দীনের পরিবারের বহু অবদান রয়েছে বলে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতারা জানায়। সংসদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে এএইচএম জিয়াউদ্দীনের নামটি এমপি প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতা কর্মীদের কাছে সামনে চলে আসছে।
এডভোকেট জিয়াউদ্দীন ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এএইচএম জিয়া উদ্দিন। দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, দক্ষ সংগঠক ও কর্মীবান্ধব এ নেতা সততা, নৈতিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে একজন ক্লিন ইমেজের ত্যাগী নেতা হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন।
অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিনের জন্ম ১৯৬৯ সালের ২ মার্চ। তাঁর বাবা অ্যাডভোকেট আবদুস সবুর ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭৩ সালে তিনি রেডক্রস চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন। আবদুস সবুর কলকাতা ইসলামীয়া কলেজে অধ্যয়নকালে বেকার হোস্টেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুমমেট ছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে আমৃত্যু দলের জন্য কাজ করেন তিনি।
এএইচএম জিয়াউদ্দিনের দাদা প্রয়াত আবদুল লতিফ বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর নানা এএইচএম মোফাখখর ছিলেন একজন প্রথিত যশা আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
সুসাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত প্রয়াত বেগম মমতাজ চৌধুরী হলেন এএইচএম জিয়া উদ্দিনের মা। তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করতেন। তাঁর মৌলিক গ্রন্থের সংখ্যা ছয়টি। তাঁর স্মরণে মমতাজ-সবুর সাহিত্য পুরস্কার চালু রয়েছে। এ পুরস্কার পেয়ে থাকেন দেশসেরা কবি-সাহিত্যিকগণ। বেগম মমতাজ চৌধুরী ২০০২ সালে চট্টগ্রাম ডাইজেস্ট কর্তৃক ‘রত্নগর্ভা মা’ পুরস্কারে ভূষিত হন।
অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়া উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়া উদ্দিন। তিনি ভাই- বোনদের মধ্যে ৬ষ্ঠ, ভাইদের মধ্যে তৃতীয়। তাঁর বড় ভাই এএইচএম কফিল উদ্দিন এলিট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজার। মেজ ভাই বোরহান উদ্দিন বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে সুনামের সাথে পালন করছেন। প্রথম বোন শাহিন সবুর আরব আমিরাতে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত; পাশাপাশি তিনি লেখালেখি ও মৌলিক গ্রন্থ রচনায় যুক্ত আছেন। দ্বিতীয় বোন নাছরিন সবুর সপরিবারে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। তৃতীয় বোন তহুরুন সবুর ডালিয়া এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ; তিনিও লেখালেখিতে সক্রিয় ও মৌলিক গ্রন্থ রচনায় যুক্ত আছেন। চতুর্থ বোন নাহিদ শিরীন প্রিয়া এবি ব্যাংকের এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়া উদ্দিন তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে রাজনীতি, সমাজসেবা ও আইন সেক্টরের বিভিন্ন শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। দলের দুঃসময়েও তিনি চট্টগ্রাম মহানগওে আওয়ামী রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখেন। তাঁর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মতৎপরতা দেখা যায়। তিনি সফল সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন কার্যকরী কমিটি উপহার দেন।
১৯৮৯ সালে পাথরঘাটা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৪ সালে বঙ্গবন্ধু ল’ টেম্পল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ও ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এএইচএম জিয়া উদ্দিন। ২০০৪ সালে তিনি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সদস্য নিযুক্ত হন। অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯৬ সালের গণ আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
তিনি ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে টানা তিনবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিপুল ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এছাড়াও তিনি বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের জড়িত।
এএইচএম জিয়া উদ্দীন চট্টগ্রাম-১৬ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে দেওয়া গণমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর আশা-আকাংখার কথা জানিয়েছেন এএইচএম জিয়া উদ্দিন। দলের পক্ষ থেকে মূল্যায়ন করা হলে তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে জানান।
অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিন বলেন, ১৯৮৯ সালে আমি পাথরঘাটা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। তখন এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরে আমার রাজনৈতিক জীবনের উত্থান ঘটে। আমার বাবা ১৯৬৮ সালে বাঁশখালী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন আনোয়ারা, কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী মিলে একটি উপজেলা ছিল। থানা কমিটি করার সময় আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সার উপস্থিত ছিলেন।
কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে লেখাপড়া করার সুবাদে বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার বাবার পরিচয় হয়। সেখানে রুমমেট হওয়ার কারণে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়তে থাকে। ১৯৪৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করেছেন। তখন নির্বাচনে আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কাজ করেন। বিপুল ভোটে ছাত্র সংসদের জিএস নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু।
বয়সের ভারে বাবা অ্যাডভোকেট আবদুস সবুর রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলে ছিলেন জানিয়ে এএইচএম জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘তখন আমি ছোট। আমার বড় ভাই তো রাজনীতি করতেন না। বড় ভাইয়ের সাথে আমার বয়সের ব্যবধান ১৫ বছর। তাই বাবার রাজনীতির হাল ধরতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু সদরঘাটের শাহজাহান হোটেলে আসলে তিনজনকে ডাকতেন। এম এ আজিজ, জহুর আহমেদ চৌধুরী ও আমার বাবাকে। আমার বাবাকে তিনি সবুর বলে ডাকতেন।’
বাঁশখালীর জনগণের সেবক হতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের মহা প্রলয়করী ঘূর্ণিঝড়ে আমার পরিবার বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার মানুষের বিপদে এগিয়ে গিয়েছিল। যা স্মরণীয় হয়ে আছে। তখন কারও হাঁড়ি-পাতিল ছিল না। আমার বড় ভাইসহ হাঁড়ি-পাতিলের কয়েকটি আইটেম নিয়ে আমরা প্রতিটি বাড়িতে হাজির হয়েছিলাম। বাঁশখালীর মানুষের সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক। পশ্চিম বাঁশখালীর অনেক রাস্তাঘাট আমি জেলা পরিষদের মাধ্যমে সংস্কার করেছি। এলাকায় যারা জুডিসিয়াল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, আমি তাদেরকে কোনো না কোনোভাবে সহযোগিতা করেছি। ইয়াং জেনারেশন যারা আছে, তাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক আছে।
৫ শতাধিক আইনজীবী তাঁর পক্ষে কাজ করবেন জানিয়ে অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘বাঁশখালীতে ৫ শতাধিক আইনজীবী রয়েছেন। যারা আমার পক্ষে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবেন। সেকালে গ্রাম থেকে আইনি সহায়তার জন্য যারা শহরে আসতেন, তাঁরা আমাদের বাড়িতে রাত্রিযাপন করতেন। কারণ, তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। লোকজন লঞ্চে করে এসে চাকতাই ঘাটে নেমে আমার বাসায় চলে আসতো।’
নিঃস্বার্থভাবে মানুষের উপকার করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এসে অনেক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। সে কারণে আমি আইনজীবীবান্ধব নেতা হতে পেরেছি। ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে আমি রাতের তিনটায় অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মানুষের ঘরে গিয়েছি। আইনজীবী এবং আইনজীবীদের পরিবার ছাড়াও সাধারণ মানুষের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করেছি। অনেকের অদৃশ্য উপকার করেছি। এসব বলে আমি কাউকে ছোট করতে চাই না। অনেকে আইন বিষয়ে পড়ার জন্য শহরে এডমিশন নিতে চাচ্ছে, কিন্তু চান্স পাচ্ছে না; আমি তাদেরকে হেল্প করেছি। বাঁশখালীর অনেক তরুণের চাকরি লাভে সহযোগিতা করেছি। আমি তো লোক দেখানো হেল্প করিনি। যারা আমার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে তাঁরা কখনো আমার কাছ থেকে মুখ ফিরাবে না।’
নৌকার মাঝি হতে চান জানিয়ে এএইচএম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘নেত্রী যদি মনে করেন আমার নমিনেশন পাওয়া দরকার। তখন আমি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন কমিটি করবো। নির্বাচন পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমল থেকে আমি নির্বাচনী অনেক দায়িত্ব পালন করেছি। আমার নির্বাচনী অভিজ্ঞতা শুধু বারের সেক্রেটারি হিসেবে নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেগুলো হয়েছে, মহিউদ্দিন চৌধুরী যেসব নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, সেগুলোতে আমি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছি নির্বাচনী কাজে। কীভাবে জনগণকে আকৃষ্ট করতে হয়, সে অভিজ্ঞতা আমার আছে। কীভাবে জনগণের কাছে একজন প্রার্থীর ম্যাসেজ পৌঁছে দিতে হয়। আমি আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবো।
সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এএইচএম জিয়া উদ্দিন বিজয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
বাঁশখালীর উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বাঁশখালীর যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো একটাও ঠিক নেই। আপনি যদি চন্দনাইশ-পটিয়ায় যান; দেখবেন ওখানকার রাস্তাগুলো একদম ক্লিন। সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় কিন্তু টেকনিক্যাল কলেজ করেছে। যেটা এখন রাউজানে আছে, পটিয়ায় আছে, চন্দনাইশে আছে। কিন্তু আমাদের উপজেলায় নেই কেন? একটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট আছে। ওটা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী করেছিলেন। এরকম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তো সরকার দিচ্ছে। খাস জমিতে একটি টেকনিক্যাল স্কুল করা যেত। তাহলে হয়নি কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় ভোটার বেশি, সেখানে ঘনবসতি। ওখানকার মানুষের একমাত্র চাহিদা বেড়িবাঁধ। কিন্তু বেড়িবাঁধ তো ঠিকভাবে হয়নি। আমার বাড়িতে যাওয়ার সময় আমাকে গুণাগরী দিয়ে না গিয়ে বাণীগ্রাম হয়ে যেতে হয়। গুণাগরী রাস্তাটার বেহাল অবস্থা।’
আদালতপাড়া থেকে সংসদমুখী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে যারা কেন্দ্রীয় নেতা আছেন, তাঁরাও কিন্তু এলাকায় গিয়ে রাজনীতি করেন। আমি সম্প্রতি মৌলভী সৈয়দের কবরে ফুল দিতে গিয়েছি। তখন অনেক মুরব্বি আমার পরিচয় পাওয়ার পর আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে বাঁশখালী থেকে আমার বাবা নমিনেশন চেয়েছিলেন। তখন মৌলভী সৈয়দও ইলেকশন করতে চাইলে বঙ্গবন্ধু দু’জনকে নমিনেশন না দিয়ে শাহ-ই জাহান চৌধুরীকে নমিনেশন দেন।’
নেত্রী একটি কথা বলেছেন, শত ফুল ফুটতে দাও। পছন্দটা আমি বেছে নেব। আমি তো হঠাৎ করে আসিনি। আমি তো হঠাৎ করে নমিনেশন চাচ্ছি না। আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পরিচিতির কোনও ঘাটতি নেই। আমার ওপরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ঘাটতি নেই। আমার বাবা দুঃসময়ে বাঁশখালী আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন। আমি অবহেলিত বাঁশখালীবাসীর জন্য কাজ করতে চাই।