অবৈধ দখলদার ইসরাইল বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের ব্যানারে দুপুর ২ টায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ মিজানুস সালাম মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ। সমাবেশ থেকে নয় দফা দাবি উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার গাজী মোহাম্মদ নুরউদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম নঈম উদ্দীন বলেন, ১৯৪৮ সালের আগে ইসরাইল নামক কোনো রাষ্ট্রই ছিল। উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠী থেকে তারা আজ দখলদারে পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। আজকের সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনে ইসরাইল বাহিনী কর্তৃক এই ধরনের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, আজ ছোট ছোট বাচ্চারাও ইসরাইলের নির্মম হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। রমজানের দিনগুলো তাদের জন্য কঠিন সময়। স্যোশাল মিডিয়ায় আমরা দেখছি অনেকে ঘাস খেয়ে ইফতার করছে। জাতিসংঘ আজ কোথায়? মানবাধিকার সংগঠনগুলো আজ কোথায়? তারা মুসলিম এটাই কি তাদের অপরাধ?
এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগ অধ্যাপক ড.জহুরুল আলম, মোহাম্মদ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম, আরবি বিভাগ অধ্যাপক ড. আ.ম. কাজী মুহাম্মদ হারুন-উর-রশীদ, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চবি ক্যাম্পাস শাখার সভাপতি জাফর আহমদ, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চবি ক্যাম্পাস শাখার সি. সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সেকান্দার মিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ আবুল মনসুর প্রমুখ।
নয় দফা দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও জাতিগত নিধন বন্ধ করতে হবে, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, ফিলিস্তিনের বাস্তুহারা মানুষদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, ফিলিস্তিনে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও সাহায্য প্রেরণ করতে হবে, ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে হবে, ইসরায়েলকে সবদিক দিয়ে বয়কট করতে হবে, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে হবে, জাতিসংঘ কর্তৃক ইসরাইলকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে ঘোষণা করতে হবে ও অনতিবিলম্বে একপক্ষীয় যুদ্ধ বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।