পটিয়ায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। গত শনিবার ঢাকায় সংঘর্ষের পর রাতে বিভিন্ন যানবাহনে করে পটিয়ায় ফেরার পথে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় কয়েকটি বাস থেকে ১৪ জন ও বাড়ি থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একজন জামায়াত নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী হলেন, বিএনপি নেতা কামাল মেম্বার, আব্দুর শুক্কুর, কামাল উদ্দীন, নাছির উদ্দীন, আবুল হোসেন, নুর মিয়া, একরাম খান, মোহাম্মদ কায়ছার, মোহাম্মদ ইব্রাহিম। যুবদল নেতা মোহাম্মদ রিমন, শেখ নাছির, মোহাম্মদ মুছা, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোজাম্মেল হক, নাছির উদ্দীন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ফাহিম এর নাম জানা গেছে। এছাড়া সিরাজুল আমিন নামের এক জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ১০ জনকে দুই যুবলীগ নেতার দায়ের করা পৃথক মামলায় ও ৮ জনকে গতকাল রবিবার দায়ের করা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নতুন মামলার ৮ আসামি পটিয়ার ইন্দ্রাপুলস্থ বাইপাস এলাকায় ভোরে ঝটিকা মিছিল, সরকার বিরোধী স্লোগান ও ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতা ঘটিয়েছে। ওই ঘটনায় কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দা নুরুল আজিম মামলাটি দায়ের করেন থানা সূত্রে জানাগেছে।
অপরদিকে, রবিবার বিএনপির সারাদেশের হরতালের ডাক দিলেও পটিয়ায় দলীয় কার্যালয়ে এবং মাঠে ছিল না বিএনপি’র কোন নেতাকর্মী। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কসহ সারাদেশের কোথাও কোন হরতালের চিত্র নেই। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চলছে।
পটিয়া থানা ওসি প্রিটন সরকার জানান, গত রোববার ভোর রাতে আটক ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনকে পুরনো দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া অবশিষ্ট ৮ জনের বিরুদ্ধে রবিবার ভোরে ককটেল বিস্ফোরণ ও সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার বিকালে পটিয়ার সিনিয়র জুড়িশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান, পটিয়ায় বাস থেকে নামার সময় ১৪ জন ও অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে ৩ জনকে আটকের পর তাদের সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কার্যালয় এলাকা থেকে কুসুমপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পটিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম নেচার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী ও যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম পটলকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাজানো মামলায় গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন এসব মামলা দিয়ে আর হামলা করে বিএনপিকে দমানো যাবে না। তারা এক দফা দাবি আদায়ে রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরবেন না।