আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি-জামায়াত চক্র এক ঘরে হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। বিএনপির ডাকা অবরোধ ‘প্রত্যাখান করে’ আজ বুধবার (২২ নভেম্বর ) সকালে নগরীর নিমতলা চত্বরে বন্দর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সুজন বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচালের ছক নিয়ে মাঠে নেমে এখন নিজেরাই এক ঘরে হয়ে পড়েছে। এতোদিন তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ করলেও জ্বালাও-পোড়াও করতে গিয়ে তারা এখন নিজেরাই জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সাথে আঁতাত করে যারা এতোদিন সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তারাও এখন ধীরে ধীরে নির্বাচনী ট্রেনে উঠতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই রাজনৈতিক দলগুলো সাংবাদিক সম্মেলন কিংবা ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে আসতে শুরু করেছে। নির্বাচনী ডামাডোলে বিএনপির অবরোধ ভেসে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন সুজন।তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র একদিকে জ্বালাও-পোড়াও করছে অন্যদিকে বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। তারা নির্বাচনে আসতে চাইলে এ পর্যন্ত তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ে যত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে,তাদের কর্মকান্ডের জন্য জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, ভবিষ্যতে জ্বালাও-পোড়াও এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে না বলে মুচলেকা প্রদান করলে তাদেরকে নির্বাচনী ট্রেনে নেয়া যাবে কিনা বিবেচনা করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চট্টগ্রামসহ সারা দেশব্যাপী সেসব অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড রয়েছে সেসব কর্মকান্ড সম্পন্ন করতে আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোটদানের অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন এবারের নির্বাচনে কোন ভাবেই ভুল করা যাবে না। চট্টগ্রাম নগরীর চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ আরো নতুন নতুন উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে সাজাতে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। দলীয় নেতা-কর্মীদের আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করারও উদাত্ত আহবান জানান নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. ইসকান্দর মিয়া, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও কাউন্সিলর মোর্শেদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, কামাল ইসাকী, মো. আমিন, ওয়াাহিদ মুরাদ রাসেল, জাকির মিয়া, ৩৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. জাকির মিয়া, ৩৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিব শরীফ, সৈয়দ হোসেন, হাসান মুরাদ, জাহিদ হাসান, শেখ মো. মহিউদ্দিন, হোসেন চৌধুরী সাদ্দাম প্রমূখ।