আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। বিএনপি-জামায়াত চক্রের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগনের জানমাল রক্ষায় আজ বুধবার (৮ নভেম্বর ২০২৩ইং) সকালে নগরীর নিমতলা চত্বরে বন্দর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সুজন বলেন, আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাড়া বিএনপির আর কোন উপায় নেই। বিএনপি দলটি সন্ত্রাসী, ধ্বংসাত্বক এবং অপরাজনীতি করতে গিয়ে ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়বে। তাই বিএনপির বুদ্ধিজীবিদের উচিত তাদের দলকে নির্বাচনমুখী করার পরামর্শ দেওয়া। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্রের ডাকা অবরোধে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যার যার নিত্যদিনের কাজে নেমে পড়েছে। বিএনপি-জামায়াত চক্র পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা স্থবির করতে চায় কিন্তু তাদের সে চেষ্ঠা সফল হবে না। চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে সকল প্রকার অপারেশনাল কার্যক্রম চলছে। আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী সকল যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ বিএনপি-জামায়াত চক্রকে লালকার্ড দেখিয়েছে। সুতরাং পুলিশ হত্যা করে, মানুষের গাড়ি পুড়িয়ে তাদের আন্দোলন বাংলার মাটিতে আর কখনো সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সুজন বলেন চট্টগ্রামের চারিদিকে আজ শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধু টানেল দেখতে সারা দেশের মানুষ আজ চট্টগ্রামে আসছে। বঙ্গবন্ধু টানেল এলাকায় প্রতিদিন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ চালু হচ্ছে। আর মাত্র কিছুদিন পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। দেশের সকল মানুষ আজ উন্নয়নের পক্ষে। তাই বিএনপি-জামায়ত চক্রকে এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাদ দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহবান জানান খোরশেদ আলম সুজন। বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছ’র সভাপতিত্বে এবং জাকির মিয়া ও ওয়াহিদ মুরাদ রাসেলের যৌথ সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার সওগাতুল আনোয়ার খান, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. ইসকান্দর মিয়া, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও কাউন্সিলর মোর্শেদ আলী, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ নূর নবী লিটন, এনামুল হক মুনিরী, বন্দর সিবিএ কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কাজী আবদুস ছাদেক নান্না, মো. এছাক, এস এম নাছির উদ্দিন, কামাল ইসহাকী, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, সৈয়দ হোসেন, ছালেহ জঙ্গী, আবুল হোসেন, আব্দুল মান্নান, মো. আমিন, মিজানুর রহমান মিজান, ৩৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেখ মো. জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিব শরীফ, মো. শাহাবুদ্দীন, মো. সালাউদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান আহাম্মেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সহ-সভাপতি রুমেল বড়–য়া রাহুল, মো. জাকির, মো. নাছির, মো. এছকান্দর, হাসান মুরাদ, জাহিদ হোসেন, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবু, ৩৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাসুদ পারভেজ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মো. রানা প্রমূখ।