অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। সংবিধান অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দারুল ফজল মার্কেট চত্বর থেকে গণপ্রচারনার শুরুতে উক্ত আহবান জানান তিনি।
গণপ্রচারনার শুরুতে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে সুজন বলেন, নির্বাচন কমিশন যখনই বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তখনই এ নির্বাচন বানচালে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত চক্রটি তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচালে উঠেপড়ে লেগেছে। আর তাদেরকে পিছন থেকে শক্তি যোগাচ্ছে একটি বিদেশি রাষ্ট্র। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে যে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই এ রাষ্ট্র কারো চোঁখ রাঙানিকে ভয় করে না। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক হবেই এবং কোন অপশক্তি যাতে এ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য রাজপথে সক্রিয় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সংগঠন ১৪ দল। আর তাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে গণপ্রচারনায় নেমেছে ১৪ দল নেতৃবৃন্দ। তিনি আরো বলেন বিএনপি-জামায়াত চক্রটি মাঠের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে মাঠে নেমেছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে। অবরোধের নামে চক্রটি জনজীবনকে স্তব্দ করে দিতে চায়। কিন্তু তাদের অবরোধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে শত শত গণপরিবহন এবং বিভিন্ন যানবাহন। আর এতেই বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়েছে এসব যানবাহনগুলো। যাত্রীবেশে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা এসব গণপরিবহন পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এতে করে ঐ গণপরিবহনের উপর নির্ভরশীল পরিবারটি একেবারে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই তাদের অগণতান্ত্রিক ও ধ্বংসাত্মক এসব কর্মসূচীকে আর কোনভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক সুজন। খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন নির্বাচন কমিশন খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। তাই তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ১৪ দল। গণপ্রচারনাটি দারুল ফজল মার্কেট হয়ে কাজীর দেউড়ি, জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, চকবাজার, গনি বেকারী, কাজীর দেউড়ি, লাভলেইন হয়ে পুনরায় দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে এসে শেষ হয়। গণপ্রচারনায় ১৪ দল নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু টানেল থিম সং “দইজ্জার তলে চলের গাড়ি” পরিবেশন করা হয়। মোড়ে মোড়ে উৎসুক জনতা টানেলের থিম সং উপভোগ করেন এবং গণপ্রচারনার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমুদ্দিন বাবুল, ন্যাপের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য গাজী আলমগীর কবির, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিটুল দাশগুপ্ত, গণআজাদী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী, ন্যাপ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার, জাতীয় পার্টি (জেপি) চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলাল মৃধা, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম, মনিরুল হক মুন্না, হোসেন চৌধুরী সাদ্দাম, হাবিব রহমান, আরাফাত রুবেল, এইচ এম বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।