
শত বছরের পুরাতন সেতু মেরামতের জন্য আপাতত বন্ধ রাখার নিয়ম রয়েছে এইটা আমরা জানি। কিন্ত সেতু মেরামতের পরও আগের মত যানবাহন চলাচল করার জন্য খুলে দেওয়া হবেনা। শুধু মাত্র চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন দিয়ে রেল চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি সেতুর এক সাইড দিয়ে মানুষ চলাচলের ব্যবস্হা রয়েছে। আজীবন যানবাহন চলাচল করতে হবে ফেরি দিয়ে।
সরকারের মন্ত্রী ও সচিব এবং সেতু মেরামতের দায়ীত্বরতরা সেতু মেরামতের কাজ পরিদর্শন করে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় মন্তব্য করেন যে, এই সেতু মেরামতের পর আরো ২০ বছর চলবে,এই মূহুর্তে নতুন সেতুর প্রয়োজন নেই। নতুন সেতু বাস্তবায়ন হবে আগামী ২০৪৩ সালে, তাহলে আমরা আর একটি নতুন সেতুর জন্য ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
কি মজার কথা আমাদেরকে কোন ভাবে বুঝ দিয়ে শত বছরের পুরাতন সেতু মেরামতের করে শুধু মাত্র রেল চলাচল করার ব্যবস্হা করে আমাদেরকে ফেরি দিয়ে চলাচল করার পরামর্শ নিয়ে সরকার কোন ভাবে নতুন সেতু বাস্তবায়নে করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে পাশকাটিয়ে যাওয়াই চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা চট্টগ্রামবাসী তা মানবো না। আমাদের সবার দাবী একটাই কালুরঘাট সেতু চাই।
এই দাবীকে সামনে রেখে আমরা ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন জোরদার করে যাবো। সেতু বাস্তবায়নের দাবীতে আগামী ১৫ নভেম্বর কালুরঘাট সেতু পশ্চিম কুলে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছি।
সমাবেশ সফল করার লক্ষ্য ২১ শে অক্টোবর রোজ শনিবার, সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজার হাইওয়ে প্লাজার, ৪র্থ তলায় চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের এক প্রতিনিধি ও কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করেন।
মো.কামাল উদ্দিন।
মহাসচিব
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।