আজ শুক্রবার ║ ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ শুক্রবার ║ ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ║৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ:

    দখল দুষণে মরতে বসেছে কর্ণফুলীর ওসি মিয়া খাল

    Share on facebook
    Share on whatsapp
    Share on twitter

    একসময় নৌকাবোঝাই মালামাল কর্ণফুলী নীদ থেকে খালটি দিয়ে সোজা চরপাথরঘাটা হয়ে শিকলবাহা ইউপি পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে মালামাল খালাস হতো। কী জমাজমাট অবস্থা। রাত-দিন তখন মানুষ এইখালেই গোসল করতো, সাঁতার কাটতো। অথচ স্থানীয়দের দখল আর দূষণ দেখে আর বোঝার কোনো উপায় নেই, এটি খাল নাকি ড্রেনের সুয়ারেজ লাইন। ৫০ ফুটের খালটি এখন ১৫ ফুটে পরিণত হয়েছে। কথাগুলো বললেন, কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা ইউপির সাবেক মেম্বর প্রবীণ রাজনীবিদ ডা: গিয়াসউদ্দিন ফারুকী ফয়সাল।
    নিজের জীবনের শৈশবের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, শিকলবাহা হয়ে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে চরপাথরঘাটা থেকে কর্ণফুলী নদীর সাথে গিয়ে মিশেছে ওসি মিয়ার খালটি। এক সময় এখানেই আমরা নৌকা চালাতাম। পালতোলা নৌকায় ঘুরে বেড়ানো সাঁতার কেটে একপার অন্য পার যাওয়া আমাদের কিশোরকালের আনন্দ ছিল। অথচ আজ খালটি এতই সঙ্কীর্ণ হয়ে গেছে যে দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিশে যাওয়া ওসি মিয়ার খালটি দখলের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রতিযোগিতা করছেন। তাল মিলিয়ে সবাই খাল দখল করতেই ব্যস্ত। এমনকি শিল্প-কারখানার মালিকরা খাল দখল করে বিশাল আকারে দেয়াল নির্মাণ করে নিজেদের দখলে নেওয়ার প্রচেষ্টায় আছেন। কারখানা ও বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরার বর্জ্যে পানির গতিপথ আটকে গেছে।

    সূত্র মতে,শিকলবাহা হয়ে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে চরপাথরঘাটা হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশেছে ওসি মিয়ার এই খালটি।
    একসময় খালটির প্রস্থ ছিল প্রায় ৫০ ফুট। তখন খালে পণ্যবোঝাই নৌকাও চলত। কিন্তু কালের বিবর্তনে দখল হয়ে যাওয়ায় খালটি নালায় পরিণত হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে পড়েছে খালটির পানি প্রবাহ।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, খাল দখল করে অবৈধস্থাপনা নির্মাণের কারণে ৫০ ফুটের খালটি এখন কোথাও ১২-১৫ ফুট আবার কোথাও ৮-১০ ফুট প্রশস্ত। মিল কারখানা ও দোকানপাট এবং হোটেল রেস্তোরাঁ, বাসাবাড়ির বিভিন্ন বর্জ্য ফেলার কারণে হারিয়ে যাওয়ার পথে ওসি মিয়ারখাল।কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ও চরপাথরঘাটার শিল্পাঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ওসি মিয়ার খালটি বেদখল হয়ে গেছে।জানা গেছে, খাল দখল করে গড়ে উঠেছে দ্বিতল ভবন, দোকানপাটসহ বিভিন্ন অবৈধস্থাপনা। এতে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: সাইফুদ্দিন মানিক জানান,ওসি মিয়ার খাল দখল আর বিভিন্ন কলকারখানা ও দোকানপাট এবং বাসাবাড়ির বিভিন্ন বর্জ্য খালটিতে ফেলার কারণে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই শিকলবাহা সহ চরপাথরঘাটা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খাল যারা দখল করেছে তারা কোনো সাধারণ মানুষ নন। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিভিন্ন শিল্পকারখানার মালিক তারা।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমি কর্ণফুলী উপজেলাতে নতুন যোগদান করায় এই খালটির বিষয়ে আমি আগে অবগত ছিলাম না আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখতে বলতেছি যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছে তাদের সাথে আমি এই খালটির বিষয়ে কথা বলতেছি তারা পরিদর্শন করে যদি আমাদের জানায় তাহলে আমরা খালটি সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

    এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পীযূষ কুমার চৌধুরী বলেন,খালটি দখলের বিষয়ে শুনলাম আমরা আগামী দই,একদিনের মধ্যেই খালটি পরিদর্শনে গিয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    Share on facebook
    Share on twitter
    Share on whatsapp
    Share on linkedin
    Share on telegram
    Share on skype
    Share on pinterest
    Share on email
    Share on print

    সর্বাধিক পঠিত

    আমাদের ফেসবুক

    আমাদের ইউটিউব