চীন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে জাপান। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে দেওয়া এক ভাষণে এমন আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। একই দিন হোয়াইট হাউজে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় জাপানের প্রতিরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য তারা এই সম্পর্ককে আরো মজবুত ও দৃঢ় করতে সবসময়ই আন্তরিক।
বেইজিংয়ের দিক থেকে উদ্ভূত ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখে ওয়াশিংটনের সঙ্গে টোকিওর মৈত্রী বাড়ানোর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এ সফরে গেছেন কিশিদা। জনস হপকিন্সে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বেইজিং। কেননা, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ওয়াশিংটন ও টোকিওর চেয়ে আলাদা। ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের নিজ নিজ সম্পর্কের বিষয়টি সামাল দিতে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একতাবদ্ধ হওয়া একান্তভাবে অপরিহার্য।’
কিশিদা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। যে অবাধ, উন্মুক্ত ও স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে আমরা নিজেদের উৎসর্গ করেছি সেটি এখন মারাত্মক বিপদের মধ্যে রয়েছে।’ একই দিন হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিশিদাকে বলেন, তার দেশ সম্পূর্ণভাবে জাপানের প্রতিরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাপান সবসময়ই তাদের বন্ধুরাষ্ট্র। এ সময় তিনি টোকিওর নিরাপত্তাব্যবস্থারও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জাপান বর্তমানে যেভাবে তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্তিশালী করে রেখেছে, তা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। অন্য দিকে কিশিদা বলেন, চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির বিপরীতে সবসময়ই তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছে। কেননা টোকিও সবসময় ওয়াশিংটনের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, এই দেশগুলো তথা চীন যতই আমাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হোক না কেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব। এই জন্য এই জোটকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
জো বাইডেন বিষয়টিকে মার্কিন-জাপান জোটের একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, দুই দেশ আগে কখনো এত নিবিড় সম্পর্কে ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এই সম্পর্ক দিবালোকের মতো সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় জাপানের আঞ্চলিক নিরাপত্তার ব্যাপারে আন্তরিক। ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সময় প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য কিশিদাকে ধন্যবাদ জানান।