চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের পেছনের বাঁশঝাড় থেকে এক সাবেক নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই বাঁশঝাড়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ঝাড়ুদার জগদীশ রুদ্র (৪০)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি চবির সাবেক নিরাপত্তা কর্মী মনির আহমেদ। বয়স আনুমানিক ৭৫। বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। তিনি চবির বিজ্ঞান অনুষদের সামনের কলোনিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই বছর আগে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। তাছাড়া তিনি প্রায় সময় বাঁশ কাটতে ওই অনুষদের পেছনে যাওয়া আসা করতেন এবং লাকড়ি সংগ্রহ করতেন।
তার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রহরী মো. তারেক মিয়া বলেন, গতকাল আসরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরে যায়নি। এখন বাবার লাশ পাওয়া গেছে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ঝাড়ুদার জগদীশ বাসায় জানিয়েছে। পরে আমি সাথে সাথে এসে বাবার লাশ দেখতে পাই।
জগদীশ রুদ্র বলেন, আমি অনুষদের পানির মটর ছেড়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি ঝোপ ফাঁকা। রাস্তা হয়ে আছে। তখন আমি একটু সামনে এগিয়ে আসতেই দেখি একজনের পা দেখা যাচ্ছে। তখন আমার সহকর্মী কাজল রুদ্রকে ডেকে আনি। লাশটাকে মনির ভাইয়ের মতো লাগলে আমরা ছবি তুলে ওনার মেয়েকে দেখালে ওনি ওনার বাবাকে শনাক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। জঙ্গলের ভিতরে মৃত্যু হয়েছে। এজন্য একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। তবে, লাশ পোস্টমর্টেম হবে কিনা সে বিষয়ে ওসি সিদ্ধান্ত নিবেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে, বাঁশঝাড়ে মৃত্যু হওয়ায় এটা স্পষ্ট না। তাই, ছেলে বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করতে হবে। তারপর পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে সঠিক কারণ উদঘাটন করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।