চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কয়েকজন
অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন হায়াত উল্লাহ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী।
মারধরের শিকার হায়াত উল্লাহ এর পক্ষে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাইদুর রহমান জুবায়ের নামে এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এবিষয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় আজ সকাল আনুমানিক ৯.২০ মিনিটে
ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট থেকে অজ্ঞাত তিনজন আমাকে শহীদ আবদুর রব হলের ৩২৪ নাম্বার রুমে নিয়ে যায়। এসময় ঐ তিনজন সহ আরও ১০-১২ জন আমাকে রুমে আবদ্ধ করে অকথ্য ও অবর্ণনীয় নির্যাতন করে। যার ফলে আমার বাম হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়। পরে কর্তব্যরত একজন সহকারী প্রক্টর আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে চবি মেডিকেল এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করে।
ঐখানে আরও বলা হয়, হামলার সাথে জড়িত সকলকে হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে পরিচয় প্রকাশ ও উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে।
জানা যায় মারধরের শিকার হওয়া হায়াত উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের ( ভিএক্স) একজন সক্রিয় কর্মী ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাধা প্রদানের পাশাপাশি এতে অংশ নেওয়াদের নানাভাবে হুমকি দিতেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ কর্মী হায়াত উল্লাহর আন্দোলন চলাকালীন সময়ের কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট পাওয়া যায়। যেখানে হায়াত কে আন্দোলনকারীদের হল থেকে বের করে দেওয়া, খুঁজে খুঁজে লিস্ট করার কথা বলতে দেখা যায়। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের মীর জাফর উল্লেখ করে লড়াইয়ের হুমকিও দেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান,মারধরের ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। কালকে সকালেই আমরা অভিযোগের বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।