চট্টগ্রামে হেলে পড়া ভবন নিয়ে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এই তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে উপপরিচালক স্থানীয় সরকারকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে সিএমপি’র প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, সিডিএ’র প্রতিনিধি, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, পিডব্লিউডি’র প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি ভবনে কেউ যেন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বসবাস না করেন সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের আশে-পাশের বিদ্যালয়ে আশ্রয় গ্রহণের জন্য খোলা রাখা হয়েছে।পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় একটি ৪তলা ভবন হেলে পড়ার সংবাদে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিউর রহিম জাদিদ, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, চান্দগাও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উক্ত ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসে। আশে পাশের আরো ৪টি ভবন ঝুকিপূর্ণ বিবেচনায় সেগুলোর বাসিন্দাদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে। মোট ১০০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ কাজ করেছেন।
জানা গেছে যে, মূল হেলে পড়া ভবনটির পেছনে চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অথরিটির খাল খনন প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। সেই খাল খনন করায় ভবনের পিলার দুর্বল হয়ে পড়েছে মর্মে বাসিন্দাগণ দাবী করেছেন। অপরদিকে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী জানিয়েছেন যে, বর্ণিত ভবনটি অপসারণ করার কথা ছিলো এবং ভবনের মালিক অপসারণের জন্য সময় নিয়েছিলো।