নগরের চান্দগাঁও এলাকায় গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের দিন জনগণের প্রতিরোধকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের দিন রাত থেকে গতকয়েকদিন ধরে যুবদল নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হয়রানিমূলক অভিযান ও পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ।
নেতৃদ্বয় বুধবার (১০ জানুয়ারী) যৌথ এক বিবৃতিতে বলেন “পূর্ব নির্ধারিত ফলাফলের ডামি নির্বাচন বর্জনকে কেন্দ্র চান্দগাঁও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি, চান্দগাঁও থানা যুবদল নেতা নওশাদ আল জাসেদুর রহমানের বাসায় অভিযান চালিয়ে নওশাদকে না পেয়ে তার বড় দুই ভাই প্রবাসি আবেদ মাহমুদ রহমান ও ব্যাংকার জাবেদুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে নির্যাতনের পর আবেদ মাহমুদ রহমানকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো, চান্দগাঁও থানা যুগ্ম আহবায়ক এরশাদ হোসেনের বাসায় অভিযান চালিয়ে মো. এরশাদকে না পেয়ে তার বাবা ও বড় ভাইকে বাসায় সবার সামনে বেধড়ক মারধর করে ও বড় ভাই মো: জাবেদ, ৪নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. আবছারের বাসায় অভিযান চালিয়ে আবছারকে না পেয়ে তার মামা মো: মামুন, ৪নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা জিসানকে না পেয়ে তার বাবা মো: ইলিয়াস, ৪নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. শাহিনকে না পেয়ে তার বড় ভাই মো: শামিম, চান্দগাঁও থানা যুবদলের সদস্য মো. মোবারক, ৫ নং মোহরা ওয়ার্ড যুবদল নেতা আবদুর রাজ্জাক, যুবদল কর্মী মঞ্জুর আলম, মোহাম্মদ সাইদকে অন্যায়ভাবে বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করেছে, এছাড়াও ৪নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা নয়ন মাহমুদকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা ইদ্রিসকে বেধড়ক মারধর করেছে।
এর আগে নির্বাচনের দিন ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডে বিএনপির শান্তিপুর্ন মিছিলে পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় যুবদল নেতা মোঃ রাব্বি, শরীফ আহমেদ,শাকিল চৌধুরী,জুয়েল রানা, মোরশেদ, সুৃমন, জাহেদ, তুষার, জিশান উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী, বর্তমানে তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং ন্যাক্কারজণক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এইসব রাজনৈতিক হয়রানিমূলক গণগ্রেপ্তার ও মিথ্যা, গায়েবি মামলা বন্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।