কর্ণফুলী দখল করে গড়ে ওঠা মাছবাজারসহ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আবারো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিলেড ডিভিশন। ৪ ডিসেম্বর (সোমবার) প্রধান বিচারপতি ওবাইদুল হাসান, বিচারপতি বোরহানউদ্দিন, বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসানইনের আদালত জাতীয় মৎস্যজীবি সমবায় কর্তৃক হাইকোর্টে দায়েরকৃত চলমান মামলার (সিভিল পিটিশন ১০১০/২০২৩) একটি সুনির্দিষ্ট ব্যঞ্চ উল্লেখ করে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি মনজিল মোরশেদ বলেন, কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ২০১০ সালে আমার সংগঠন কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের হাইকোর্ট ২০১৬ সালে নির্দেশ দেয়।
প্রতিপক্ষ আপিল করলে ২০১৯ সালের মে মাসে চূড়ান্ত রায়ে দখলকারীরা সুপ্রিম কোর্টে হেরে যায়। জেলা প্রশাসন সঠিক সময়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় প্রতিপক্ষ দখলকারীরা একের এক মামলা দায়ের করে সময় ক্ষেপন করছে। এতে কর্ণফুলী দখল দূষণে দিন দিন নিজের স্বাভাবিক গতি প্রবাহ হারাচ্ছে। ২০২৩ সালের মার্চে জাতীয় মৎস্যজীবি সমবায় নামের প্রতিপক্ষ হাইকোর্টে (৭২০/২১) মামলায় হেরে যাওয়ার পর নতুন করে আরেকটি মামলা দায়ের করে স্টাটাসকো নিয়ে নেয়। আমরা আজকে (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেড ডিভিশনে নতুন দায়েকৃত মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পেয়েছি।
আগামী এক মাসের মধ্যে চলমান মামলাটি নিষ্পত্তি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মামলায় সরকার পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট সাইফুজাম্মান ডিআইজি, প্রতিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইয়েদ আহমেদ রাজা। জনস্বার্থে মামলাটির শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন হিউম্যান রাইট এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এদিকে কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদ এর সভাপতি কামাল পারভেজ বলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিলেড ডিভিশন যে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে আশা করি জেলা প্রশাসক সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর অববাহিকা ফিরিয়ে দিবেন এবং যথাযথ সম্মান রাখবেন উচ্চ আদালতের প্রতি।