চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে মারধরের ২য় দিনের মাথায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দিনমজুর মো: নাছির (৫৮)।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার (৪সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার শিকলবাহা বালুর মাঠ এলাকায় একটি সরকারি খাস জমিতে ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে।
নিহত নাছির কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের বড় মাঝির বাড়ির মো: নুর হোসেনের ছেলে।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর নিহতের বড় ছেলে খোরশেদ আলম (২২) বাদি হয়ে ২জনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, একই এলাকার আব্দুস সমদ মাঝির ছেলে মো: তারেক (২৭) ও মো: ইকবাল (৩২)। এর মধ্যে নাছির মারা যাওয়ার সাথে সাথেই অভিযুক্ত ইকবালকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ সেপ্টম্বর সকাল ৭টার দিকে শ্রমিকরা কারখানা থেকে ফোম জাতীয় ময়লা শিকলবাহা খালের পাড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলের অফিস কক্ষের সামনে এসে শ্রমিকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে নিহত মোঃ নাছির (৫৮) সেখানে প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকেও গালিগালাজ করে ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করে।পরে নাছির প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ মনির উদ্দিনকে জানান এবং শ্রমিকদেরকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে আসামি মো: তারেক হত্যার উদ্দেশ্যে নাছিরকে গাছের বাটাম দিয়ে মাথায় বারি মারতে গেলে সেটা তার বুকের বাম পাম পাশে লেগে গুরুতর আহত হয়।পরে ঘটনাস্থলে অপর আসামি মো: ইকবাল এসে এলোপাথারি কিল ঘুষি মারতে থাকে পরে নাছিরের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নাছিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে ন্যাশনাল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়,সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোবারক হোসেন জানান, ভেল্লাপাড়া বালুর মাঠে ৪ সেপ্টেম্বর একটি মারামারি ঘটনা ঘটে,এতে গুরুতর আহত হয়ে মো: নাছির নামের একজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় নাছিরের বড় ছেলে খোরশেদ আলম ২জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন, আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মোঃ ইকবালকে (৩২) গ্রেফতার করতে সক্ষম হযই। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।