চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ডাঙ্গারচর এলাকার আবুল ফয়েজের বাড়িতে তিন ভাইয়ের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একই সঙ্গে শহিদুল ইসলামের ভাড়া ঘরও।
নিজেদের পোড়া ঘরের মধ্যে নির্বাক নয়নে বসে আছেন তিন সহোদর রফিক, শফিক, আবছার ও তাঁদের পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. রফিক জানান, সারা দিন কাজকর্ম করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত দেড়টার দিকে পোড়া গন্ধ পেয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, আগুন জ্বলছে। আর তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে বাকি ঘরগুলোতে।
তখন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে আসেন। ততক্ষণে আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে যায়। আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত শফিক বলেন, তিল তিল করে সাজানো সংসার এক রাতের আগুনে মাত্র আধা ঘণ্টায় পুড়ে গেছে। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, চোখের সামনে সব শেষ হচ্ছে, কিন্তু কিছু করতে পারছি না। শুধু নিজের জান ও সন্তানদের বের করে আনছি।’
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলেও খবর পেয়ে কর্ণফুলী মর্ডাণ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সেখানে পৌঁছানোর আগেই সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রক্ষা করা যায়নি কিছুই।
ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন বলেন, আগুন লেগে তিন ভাই ও ভাড়াঘর পুড়ে সম্পুর্ণ ছাই হয়ে গেছে। কিছুই রক্ষা করা যায়নি। কোনোমতে জানমাল নিয়ে বের হতে পেরেছে।
তিনি জানান, রাস্তাঘাট ভাঙা থাকায় সঠিক সময়ে গিয়ে পৌঁছতে পারেনো কর্ণফুলী মর্ডাণ ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো.শোয়াইব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে টিম নিয়ে বের হয়েছিলাম তাৎক্ষণিক কিন্তু রাস্তা ভাঙা থাকায় যেতে দেরি হয়ে যায়। মাঝপথ থেকে ফোন আসে সব পুড়িয়ে আগুন নিভে গেছে।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ জানান, বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন, দুধ ও নিত্যসামগ্রী জিনিস দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সামাজিক সংগঠন কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজ।