
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) উপ- উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের সেশনজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে মূল ফটকের তালা খুলে দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিকাল ৫ টার দিকে উপ- উপাচার্য, প্রক্টর ও প্রশাসনের দায়িত্বরত শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তারা তালা খুলে দেয়।
এরআগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একাডেমিক সেশন জট নিরসন ও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে (জিরো পয়েন্ট) তালা দিয়ে আন্দোলনে নামেন ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ সময়ে তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড দেখা যায়। যেগুলোতে লেখা ছিল, “স্পোর্টস সায়েন্সে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই”, “একাডেমিক ক্যালেন্ডার চাই”, “বয়স গেলে শেষ হয়ে কী করবো আর অনার্স করে”, “আমরা দেই ট্রপি আপনারা দেন সেশনজট”, প্রভৃতি শ্লোগান।
জানতে চাইলে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিউল্লাহ বলেন, আমাদের বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে আজ থেকে আট বছর আগে কিন্তু এখন পর্যন্ত বিভাগ থেকে একটা ব্যাচও মাস্টার্স শেষ করে বের হতে পারেনি। এছাড়াও আমাদের কোন স্থায়ী ভবন নেই, বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। আমরা ভাসমানভাবে ক্লাস এবং পরীক্ষা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং ডিপার্টমেন্টে তালা ঝুলানো থাকবে। উপ-উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন আগামী বুধবার আমাদের সাথে বসে সমস্যা সমাধানে রোডম্যাপ তৈরি করবেন। তারপর আমাদের কাছে যদি মনে হয় পদক্ষেপগুলো জোরালো নয় তাহলে আবার আন্দোলনে নামবো।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, আমরা আগামী বুধবারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে তাদের সমস্যাগুলো শুনবো। এর আগে ডিপার্টমেন্টের পরিচালক এবং শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে পার্টটাইম শিক্ষকের মাধ্যমে ক্লাস পরীক্ষা চলমান রাখার বিষয়ে সিন্ধান্ত নিব।