উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া দোষের কিছু নয়, তবে
সেই যাওয়ার মধ্যে কিছু যৌক্তিক কারণ তো থাকতে হবে
ব্যারিষ্টার মনোয়ার হোসেন বলেছেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া দোষের
কিছু নয় তবে সেই যাওয়ার মধ্যে কিছু যৌক্তিক কারণ তো থাকতে হবে। যেমন একজন শিক্ষার্থী যদি পরমাণু বিজ্ঞানে গবেষণা অথবা জ্বালানি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা
নিতে চায় তাকে তো বিদেশে যেতেই হবে। প্রতিবছর অনেক ছাত্র বিভিন্ন ধরনের
বৃত্তি অথবা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহায়তা নিয়ে বিদেশে
যাচ্ছে। তারা সেখানে উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা আর গবেষণা করছে।
কেউ কেউ দেশে ফিরে আসছে অথবা ওই দেশে থেকে যাচ্ছে। বিশ্বায়নের এই যুগে কেউ অন্যদেশে বৈধভাবে থাকতে চাইলে তা বন্ধ করারও কোনও উপায় নেই। আবার যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অথবা গবেষক অন্য দেশে তাদের পেশায় যশ খ্যাতি অর্জন করে তা নিয়ে আমরা গর্বিতও হই। তবে যাদের কথা এখানে আলোচনা হচ্ছে না, তারা সকলে সেই শ্রেণির শিক্ষার্থী নয়। এখানে আলোচনা হচ্ছে তাদের কথা যারা হয় অভিভাবকের কালো টাকা আছে বলে তার জোরে একটি বিদেশি ডিগ্রির জন্য অন্য দেশে যাচ্ছে অথবা তাদের জন্য দেশে ভালোমানের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি বলে তারা বিদেশে ছুটছে। অনেকের অভিভাকরা এর জন্য ধার দেনাও করছেন।
তিনি বুধবার (১৯ অক্টোবর) হোটেল আগ্রাবাদে কোরান তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শিক্ষা মেলা এক্সপো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন শরীফ, মোহাম্মদ ইসহাক, মার্টিন হোড়, গাজী তারেক ইবনে মোহাম্মদ, অধ্যাপক এ. কে.এম নূরুল বশর ভূঁইয়া সুজন, আনিসুর রহমান, মুনিরুল হক, সুজন দাস সংগঠনের সভাপতি লায়ন মুজিবুর রহমান, কামরুল ইসলাম টিটু, মানজুমা মোর্শেদ, এস এম জামিল
ইকবাল, শাহনেয়াজ সুমন, রাজীব আহমেদ প্রমুখ।
চট্টগ্রামস্থ পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন বে ব্লুতে দুইদিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক শিক্ষা মেলা ১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ও ২০ (অক্টোবর) শুক্রবার চট্টগ্রাম ফ্যাক্ট ক্যাব
কর্তৃক আয়োজিত হোটেল রেডিসন ব্লু বে-ভিউতে সকাল ১০ টা হতে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষ মেলা চলমান রয়েছে। উক্ত মেলায় ভারত, মালেশিয়া, কানাডা, লন্ডন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অংশ গ্রহণ করবে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য সকল কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান সমূহ অংশগ্রহণ করবে। বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে যেতে আগ্রহী সকল ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত থাকবেন।
মেলার সার্বিক প্রস্তুুতি নিয়ে মিট দ্যা প্রেসে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি লায়ন মুজিবুর রহমান, কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ.কে এম নুরুল বশর ভুইয়া সুজন, কামরুল ইসলাম টিটু,মানজুমা মোর্শেদ, এস এম জামিল ইকবাল, শাহনেয়াজ সুমন, রাজীব আহমেদ প্রমুখ।
এডমিশন এন্ড ক্যারিয়ার ডেভল্যাপমেন্ট কনসালট্যান্ট এসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশের সভাপতি লায়ন মো: মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় দেড়শত বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জনগণের অর্থে চলে এবং এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় বিনা
খরচায় পড়ালেখা করা যায়। কিন্তু এটা স্বীকার করতেই হবে অধিকাংশ সরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো মানের শিক্ষক পাওয়া যায় না আবার পাওয়া গেলেও
রাজনৈতিক চাপে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয় না। এখনও বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ
সুবিধা অনেক ভালো তবে তার ব্যবহার সঠিকভাবে প্রায় সময় হয় না। সরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চাপ অনেক বেশি। গেলো বছর একটি আসনের জন্য গড়ে ৩৯ জন ছাত্র ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিল। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদ
ছাড়া অন্যান্য অনুষদে দুপুরের পর ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় না বললেই চলে।
উদ্বোধক কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি বলেন, শিক্ষা মেলার মাধ্যমে বিদেশে
পড়ালেখা করতে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় সুযোগ। সৎ ব্যক্তিদের জন্য
কনসালটেন্সি ব্যবসা এসেছে।