আজ বৃহস্পতিবার ║ ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ বৃহস্পতিবার ║ ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ║২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ║ ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ:

    ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাথে বৈষম্যের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

    Share on facebook
    Share on whatsapp
    Share on twitter

    এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাদরাসার আরবি প্রভাষক ও সহকারী মৌলভী পদ থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বেলা এগারোটার দিকে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

    এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বিভাগটির সভাপতি প্রফেসর ড. আ.ন. ম. আব্দুল মাবুদ বলেন, আজকে আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমি তাদের একজন অভিভাবক হিসেবে  পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ফিকহ সহ সকল বিষয়ে অধ্যায়ন করে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠে। সুতরাং তাদেরকে বঞ্চিত করা কোনভাবে কাম্য নয়। আমরা এনটিআরসি কর্তৃক আঠারো তম  শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি বাতিলের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে দ্রুত  সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুরোধ করছি। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।

    বিভাগটির শিক্ষার্থী ও এ্যালামনায় এসোসিয়েশনের সদস্য আবু সালতান বলেন, বিগত ১ম হতে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষা পর্যন্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি ও আরবী প্রভাষক পদে আবেদন করতে পেরেছিলো। কিন্তু ১৮ সালের সংশোধিত  নীতিমালায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ  আরবি প্রভাষক পদটিতে পাঠদানের ৯৯% বিষয়বস্তুই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এই নীতিমালা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

    উল্লেখ্য, মাদরাসার আরবি প্রভাষক পদটি নামে আরবি হলেও এই পদটির কাজ শুধু আরবি ভাষা ও সাহিত্য পড়ানো নয়। বরং এই পদের মূল পাঠদানের বিষয়গুলো হচ্ছে কোরআন, হাদীস,তাফসীর, উলূমুল হাদীস, ফিকহ, উসূলুল ফিকহ, দাওয়াহ, আকাইদ প্রভৃতি। যে বিষয়গুলো মূলত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়ানো হয়। তাই স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত ১৭টি নিবন্ধন পরীক্ষায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ডিগ্রিধারীগণ এই পদে আবেদন করতে পারতেন এবং সুনামের সাথে পাঠদানও করতেন।

    Share on facebook
    Share on twitter
    Share on whatsapp
    Share on linkedin
    Share on telegram
    Share on skype
    Share on pinterest
    Share on email
    Share on print

    সর্বাধিক পঠিত

    আমাদের ফেসবুক

    আমাদের ইউটিউব