চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেছেন, বন্যরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃকূড়ে। প্রকৃত সাংস্কৃতিক কর্মীদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সাজানো হবে। বাঙ্গালীদের মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিশ্বে বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। পটিয়া ক্লাবের এই মঞ্চ কালের স্বাক্ষী, এই মঞ্চে এক সময় নবাব সিরাজদ্দৌল্লাহ সহ ক্যাতিমান নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। কালের বিবর্তনে পটিয়া থেকে এসব হারিয়ে গেছে। পটিয়ার হারানো ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আবার ফিরিয়ে আনতে হবে । আমাদের ছেলেমেয়েদের ফেইসবুক থেকে বইমূখী করতে হবে। সেজন্য সকল অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পটিয়া ক্লাব মাঠে একুশে বই মেলা উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পটিয়ায় একুশে বইমেলা উৎসব কমিটির ২২,২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারী তিন দিনব্যাপী পটিয়া একুশে বইমেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র অধ্যাপক মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দীন ভূঞা জনী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা আফরোজ, কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক
প্রদীপ দাশ, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দিন আহমদ, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো: ফারুক, সদস্য মোজাহেরুল আলম চৌধুরী,নাছির উদ্দিন, গোলাম সরোয়ার চৌধুরী মুরাদ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ লীগের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, মোস্তফা হাকিম গ্রুপের জিএম নিপুর চৌধুরী, অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু, অধ্যাপক ভগীরথ দাশ, গৌতম চৌধুরী প্রমুখ। পরে অতিথিবৃন্দরা বিভিন্ন লেখকের বই এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, তরুণ-যুব সমাজের এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাদেরকে বই পড়ানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করার কনো বিকল্প নেই। সেই সাথে প্রতিটি গ্রামে-মহল্লায় একটি করে লাইব্রেরি তৈরি করে তাদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করা যেতে পারে। এলাকাভিত্তিক সংগঠন তৈরি করা যেতে পারে যা তরুণ ও যুবকদের বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার বিকাশ ঘটাবে। দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আগামীর বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সে স্বপ্ন পূরণে অবশ্যই প্রয়োজন একদল জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন তরুণ যারা মেধা ও মননে হবে নৈতিকতা সম্পন্ন, দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। তাই, বই পড়ার মাধ্যমেই হতে পারে তাদের নৈতিক চিন্তার বিকাশ। যার রেস ধরেই হয়তো তারা আগামী দিনে জাতির জন্য সুফল বয়ে আনবে।