
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের কৃতিত্ব কোন একক ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নয়। এই আন্দোলন কোনো বিচ্ছিন্ন অভ্যুত্থান নয়, বরং এটি গত ১৬ বছরের লাগাতার আন্দোলনের ফল। এ আন্দোলনে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেছে। সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরাই। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলা, কারাবরণ, সবখানেই বিএনপি এগিয়ে। তাই ৩৬ দিনের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করার কোনো সুযোগ নেই। জুলাই গনঅভ্যুত্থান বিএনপির ত্যাগ ও সংগ্রামের দীর্ঘ পথচলারই ফসল।
তিনি আগামী বুধবার জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ছাত্র জনতার বিজয় মিছিল সফল করার আহবান জানান।
তিনি সোমবার (৪ আগষ্ট ) দুপুরে বন্দর থানাধীন কলসি দিঘির পাড়স্থ এম এ আজিজ এস্টেট প্রাঙ্গনে জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী ৬ আগষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিজয় মিছিল সফল করার লক্ষ্যে ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের শাসনামলে দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। স্বৈরাচারী শাসক জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে তাদের স্বাধীনতা ও মৌলিক সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। জনগনের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নিয়ে তাদের প্রজা বানিয়ে রেখেছিল। কিন্ত বীরের জাতি একাত্তরের মতো রক্ত দিয়ে নিজেদের মালিকানা ফিরিয়ে এনেছে। জনরোষের ভয়ে খুনি হাসিনা ও তার দোসররা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আজম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হাজ্বী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, হাজ্বী এবাদুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম বাচ্চু, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শাহানামা বাচা, সাবেক সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী আহসান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জুনু, বিএনপি নেতা হারুন মেম্বার, হাজ্বী ইলিয়াছ, মোল্লা সরওয়ার, নুরুল আবছার, আব্দুর রহিম, সাহিদা খানম, আবু বকর বকুল, আরিফুর রহমান, ফাতেমা কাজল প্রমুখ।