
চট্টগ্রাম ১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন,
ইউরোপে দিনে এনে দিনে খায় আর গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। এসব করেছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তিনি বাংলাদেশকে এমন ভাবে তৈরি করছেন, যার কারণে বিদেশি দেশগুলোর চোখ পড়েছে। তাঁরা বলে বাংলাদেশ এখন সোনার হরিণ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলার বারশতের বোয়ালিয়া রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আ.লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আর তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির শিখরে রয়েছে। সুতরাং তরুণ প্রজন্ম ও নবীন ভোটারদের জীবনের প্রথম ভোট যেনো নৌকায় হয় সে আহ্বান জানাচ্ছি।
ভূমিমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, দল বড় হওয়ায় কেউ রাগ অভিমান করে জায়গা ছেড়ে দিয়ে বসে থাকেন। তখন ওই জায়গায় অন্যজন এসে বসে যাবে। আপনারা আমাকে যদি ভালোবাসেন। ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার জন্য কাজ করবেন।
চট্টগ্রাম ১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আরও বলেন, এ এলাকার উন্নয়ন কি হয়েছে। আমার মনে হয় এটি বক্তব্যে বলতে হবে না। আপনারা নিজেরাই এগুলোর উপকারভোগী। এখানে টানেল হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এই আনোয়ারা চট্টগ্রাম শহর থেকে কোনো অংশেই কম নেই। দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে আনোয়ারা-কর্ণফুলী সেরা জায়গা হয়েছে। দেশ উন্নয়ন হয়েছে সামনে আরও উন্নয়ন হবে। বঙ্গবন্ধু টানেলের বেনিফিট আগামী কয়েকশ বছর থাকবে। যুগ যুগ ধরে টানেলের সুফল পাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন না হওয়ার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ছলে বলে কৌশলে চেয়েছে যাতে নির্বাচন না হয়। কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাকি নির্বাচন হবে। ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী যে নির্বাচন হয়েছিলো তখন তো তত্ত্বাবধায়ক করে নাই। জোর করে চেয়েছিলো তারপরও কাজ করতে পারে নাই বিএনপি। ২০০১ সালে তারা আবার ক্ষমতায় এসে অন্যায় অত্যাচার করে মানুষকে বাড়ি ঘরে থাকতে দেয় নাই। আনোয়ারার এলাকার মানুষকে বাংলাদেশ ছাড়া করেছে।
আমার বাবার পরে আমি এগারো বছর ক্ষমতায় কেউ বলতে পারবে না মানুষকে আমরা কষ্ট দিয়েছি। আমার নেতাকর্মীরা আমাকে বলে তাদের (বিএনপির) আমলে আমাদের বাড়ি ঘরে থাকতে দেয় নাই। আপনি কেন তাদের ব্যাপারে চুপ থাকেন।
আমি বলি ওরা আমার এলাকার মানুষ তারা ভুল করছে বলে আমিও ভুল করতে পারি না। দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমি এলাকার অভিভাবক হয়ে থাকতে চাই। আমি কারো সাথে অন্যায় করিনি। ভোট আসছে বলে বলতেছি এমন না। আপনারা দেখতেছেন আমি কি রকম। আমার কারণে কারো ক্ষতি হয়নি। তবে এলাকায় যারা অন্যায় অনিয়ম করে, জুলুম করে আমি তাদের ছাড় দিবো না। সে যেই দল করুক না কেন।
নির্বাচনী জনসভায় বারশত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দীন চৌধুরী খোকনের সঞ্চালনায় এতে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন।